কোনো খাদ্য সংকট-হাহাকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট কিংবা হাহাকার হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

 

বুধবার  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডংইউ-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের যে ফুড স্টক আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো মেজর প্রবলেম হবে না।

 

দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলছি। আপনারা অনেকে আমার সঙ্গে নাও এগ্রি করতে পারেন। আমি গতকাল টেলিফোন করে কক্সবাজারেও কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবত ৪০-৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে, সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের ইনকাম বেড়েছে। এজন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

 

তবে সরকার অসহায় ও গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি। মানুষের একটু তো কষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে তো আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাবো। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।

 

ঢাকায় এফএও’র সম্মেলন চলছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এজন্য এফএও’র ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের সহায়তা দেয় কারিগরি। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীভাবে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।

তিনি বলেন, আমরা এখনও ৬-৭ মিলিয়ন টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী অক্টোবরে তারা বিনিয়োগ সম্মেলন করবে। তারা আশা করছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন।

 

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচ করতে চাই। এক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবণাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য করতে যাচ্ছি। আশা করি, এসব ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।

 

এসময় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভুলে শিশুর বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশনের অভিযোগ

» ন্যায়বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট: আইনজীবী জয়নুল আবেদীন

» আবারও রিমান্ডে সালমান-পলক

» শীতে পরিযায়ী পাখিরা কীভাবে সহস্র মাইল পথ চিনে যায়-আসে?

» নারীকে গলা কেটে হত্যা

» মৃতব্যক্তিকে কবরে সকাল-সন্ধ্যায় যা দেখানো হয়

» সবজি থেকে কীটনাশক দূর করার উপায়

» দৌলতদিয়া পদ্মায় জেলের জালে বিশাল চিতল ও আইড়

» এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

» সম্পর্ক থাকলে ভয় তো থাকবেই : সোহিনী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কোনো খাদ্য সংকট-হাহাকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট কিংবা হাহাকার হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

 

বুধবার  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডংইউ-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের যে ফুড স্টক আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো মেজর প্রবলেম হবে না।

 

দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলছি। আপনারা অনেকে আমার সঙ্গে নাও এগ্রি করতে পারেন। আমি গতকাল টেলিফোন করে কক্সবাজারেও কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবত ৪০-৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে, সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের ইনকাম বেড়েছে। এজন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

 

তবে সরকার অসহায় ও গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি। মানুষের একটু তো কষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে তো আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাবো। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।

 

ঢাকায় এফএও’র সম্মেলন চলছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এজন্য এফএও’র ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের সহায়তা দেয় কারিগরি। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীভাবে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।

তিনি বলেন, আমরা এখনও ৬-৭ মিলিয়ন টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী অক্টোবরে তারা বিনিয়োগ সম্মেলন করবে। তারা আশা করছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন।

 

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচ করতে চাই। এক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবণাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য করতে যাচ্ছি। আশা করি, এসব ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।

 

এসময় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com