কেনো শীতকালে খাবেন আমলকির জুস?

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন ও নিয়াসিন থাকে। বিশেষ করে শীতকালে এটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে উপকার পাওয়া যায়। 

 

আমলকি খেলে হজম ক্ষমতা ও খাওয়ার রুচি বাড়ে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতেও সাহায্য করে।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়  
আমলকি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি মৌসুমি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

 

ত্বকের পুষ্টি পূরণ
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তকে বিশুদ্ধ করে দাগমুক্ত ও ত্বকে পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও  আমলকিতে বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এ কারণে এটিকে শীতকালীন খাদ্যতালিকায় রেখে ত্বকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারেন।

 

ওজন কমাতে 
শীতকাল প্রচুর সুস্বাদু খাবার মেলে। আর এগুলো খেলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু আপনার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আমলকি জুস রাখলে এতে থাকা ডিটক্স আপনার ওজন কমানোর জন্য উপকারি হবে।

 

হজম শক্তি বাড়ায়
শীতকালে হওয়া আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বদহজম। এমন পরিস্থিতিতে আমলকি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করতে সহায়তা করতে পারে।

 

কোলেস্টেরল কমায় 
লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিডনি রোগীদের আমলকি খাওয়া উচিত।

 

রুচি ও স্বাদ বাড়ায়
আমলকির টক ও তেঁতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকির গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এতে মানসিক চাপ কমায়। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী। শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশি মজবুত করে। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী।

 

শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে আমলকি। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অসুস্থ সাংবাদিক মাসুদ কামালকে তারেক রহমানের টেলিফোন

» মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণাপত্র

» হাসিনার পতন না হলে কোন কোন টিভি চ্যানেল পুরস্কার পেত? প্রশ্ন হাসনাতের

» দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম

» আগামীকাল পরীক্ষায় বসছেন সেই আনিসা, দেবেন বাকি সব পরীক্ষা

» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন

» ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রেস সচিব

» ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের ফুলেল শুভেচ্ছা

» কবি আবুল হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ জুন

» দেওয়ানগঞ্জে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষক নিহত, আহত-১ 

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কেনো শীতকালে খাবেন আমলকির জুস?

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন ও নিয়াসিন থাকে। বিশেষ করে শীতকালে এটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে উপকার পাওয়া যায়। 

 

আমলকি খেলে হজম ক্ষমতা ও খাওয়ার রুচি বাড়ে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতেও সাহায্য করে।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়  
আমলকি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি মৌসুমি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

 

ত্বকের পুষ্টি পূরণ
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তকে বিশুদ্ধ করে দাগমুক্ত ও ত্বকে পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও  আমলকিতে বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এ কারণে এটিকে শীতকালীন খাদ্যতালিকায় রেখে ত্বকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারেন।

 

ওজন কমাতে 
শীতকাল প্রচুর সুস্বাদু খাবার মেলে। আর এগুলো খেলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু আপনার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আমলকি জুস রাখলে এতে থাকা ডিটক্স আপনার ওজন কমানোর জন্য উপকারি হবে।

 

হজম শক্তি বাড়ায়
শীতকালে হওয়া আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বদহজম। এমন পরিস্থিতিতে আমলকি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করতে সহায়তা করতে পারে।

 

কোলেস্টেরল কমায় 
লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিডনি রোগীদের আমলকি খাওয়া উচিত।

 

রুচি ও স্বাদ বাড়ায়
আমলকির টক ও তেঁতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকির গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এতে মানসিক চাপ কমায়। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী। শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশি মজবুত করে। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী।

 

শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে আমলকি। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com