কুয়েতের কালো তালিকায় ১৯ হাজার বিদেশি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : অবৈধ বাসিন্দা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরে তাদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

জানা গেছে, কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তবুও প্রতি বছর রমজান মাস এলেই কিছু বিদেশি নাগরিক এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। গত রমজানে কুয়েত প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন পুরুষ ও নারীকে আটক করে। তদন্ত শেষে তাদের সকলকে দেশ থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃতদের কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে তারা আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে।

 

রবিবার (২৭ জুলাই) দেশটির গণমাধ্যমের একটি রিপোর্টের তথ্যমতে, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পুরুষ ও নারী অবৈধ বাসিন্দা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

চলতি বছরের শুরু থেকে আইন প্রয়োগকারীর অভিযানে কুয়েতের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিলে তাদের। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পলাতক মামলায় অভিবাসী, হকার, ভিক্ষুক এবং বসবাস ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন। মদ্যপান, মাদক বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সম্পর্কিত অপরাধের জন্যও গ্রেফতার করা হয়েছিল অনেককে, জনস্বার্থে তাদেরও নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ বহিষ্কৃত ব্যক্তি তাদের গন্তব্য এবং ফ্লাইটের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যেও তাদের প্রস্থান সম্পন্ন করে, অভিযানে আটককৃতদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সাধারণত দ্রুত হয়। বিতারিতদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা আগামীতে আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।  সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শিশুকে গলা কেটে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

» জনসমর্থন ছাড়া কিছু করতে গেলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে : আমীর খসরু

» রেকর্ড সোয়া ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি হলো মেসির রুকি কার্ড

» বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

» আ. লীগের প্রেতাত্মারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে: ফারুক

» চাপ নয়, ভারতের বারবার অনুরোধে ইলিশ পাঠাচ্ছি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

» তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল ব্যাহত

» ঢামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম : একে একে ৪ জনের মৃত্যু

» হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক এমপি পাভেল দুই দিনের রিমান্ডে

» এবার যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কুয়েতের কালো তালিকায় ১৯ হাজার বিদেশি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : অবৈধ বাসিন্দা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরে তাদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

জানা গেছে, কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তবুও প্রতি বছর রমজান মাস এলেই কিছু বিদেশি নাগরিক এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। গত রমজানে কুয়েত প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন পুরুষ ও নারীকে আটক করে। তদন্ত শেষে তাদের সকলকে দেশ থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃতদের কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে তারা আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে।

 

রবিবার (২৭ জুলাই) দেশটির গণমাধ্যমের একটি রিপোর্টের তথ্যমতে, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পুরুষ ও নারী অবৈধ বাসিন্দা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

চলতি বছরের শুরু থেকে আইন প্রয়োগকারীর অভিযানে কুয়েতের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিলে তাদের। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পলাতক মামলায় অভিবাসী, হকার, ভিক্ষুক এবং বসবাস ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন। মদ্যপান, মাদক বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সম্পর্কিত অপরাধের জন্যও গ্রেফতার করা হয়েছিল অনেককে, জনস্বার্থে তাদেরও নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ বহিষ্কৃত ব্যক্তি তাদের গন্তব্য এবং ফ্লাইটের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যেও তাদের প্রস্থান সম্পন্ন করে, অভিযানে আটককৃতদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সাধারণত দ্রুত হয়। বিতারিতদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা আগামীতে আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।  সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com