‘কিছু লোক হাসপাতালে গিয়ে লাইভ-ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, উৎসুক মানুষের ভিড়ে হাসপাতালে পানি, জরুরি সামগ্রী ও অক্সিজেনের গাড়িও ঢুকতে পারছে না। বিষয়টি লজ্জাজনক ও অমানবিক।

 

তিনি অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু লোক সেখানে গিয়ে লাইভ ও ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালের (শহীদুল্লাহ্‌ হলের পাশে) সামনে ব্যাপকসংখ্যক উৎসুক জনতার ভিড়, এতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ছাত্র ভলান্টিয়াররা অ্যাম্বুলেন্সের চলাচলের পথ ক্লিয়ার রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, এমেইজিং কাজ করছেন উনারা। কিন্তু উৎসুক জনতার ভিড় এত বেশি যে কোনো মতেই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।

 

বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, ছাত্রদের আরেকটি টিম দরকার, দয়া করে উৎসুক জনতাকে পুরো রাস্তা থেকে (এমনকি ফুটপাত) সরিয়ে দিতে চেষ্টা করুন, আগামী কয়েক ঘণ্টা রাস্তা ফাঁকা রাখতে হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এই দিকটায় মনোযোগ দিতে পারেন।

 

বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে অ্যাম্বুলেন্স আসছে উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, বিভিন্ন হসপিটাল থেকে ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউটে অ্যাম্বুলেন্স আসছে, কারণ অন্য হসপিটালগুলোর সক্ষমতা সমান নয়, এখানে তুলনামূলক ভালো চিকিৎসাসেবা আছে বিধায় সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসতে থাকবে। এমনকি হাসপাতালের পানি, জরুরি সামগ্রী এবং অক্সিজেনের গাড়িও ঢুকতে পারছে না, এক লজ্জাজনক বিষয়! অমানবিকও। বেশ কিছু লোক সেখানে গিয়ে লাইভ ও ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে!

 

কিছু লোক জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, দয়া করে হসপিটালের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না, হসপিটালের ভবনে ডাক্তার এবং নার্সরা সময়মতো লিফট এবং অপরাপর সাপ্লাই ব্যবহার করতে পারছেন না। জনতার অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে পুরা হাসপাতাল স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নেগেটিভ রক্তের আর প্রয়োজন নেই, পরবর্তী সময়ে দরকার হলে জানানো হবে, যারা রক্ত দিতে চান, সেখানে না গিয়ে হটলাইনে নম্বর ও রক্তের গ্রুপ জানিয়ে রাখুন। পর্যাপ্তসংখ্যক মানুষ ইতিমধ্যেই রক্ত দিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। জরুরি প্রয়োজনে আমাদের রক্তদানে এগিয়ে আসার এই সংস্কৃতি অত্যন্ত মহৎ।

 

সর্বশেষে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, বার্ন ভিকটিমের পিতামাতা না হলে, বিভিন্ন বার্ন হাসপাতালের জরুরি নম্বরেও কল করে সেগুলো ব্যস্ত রাখবেন না, প্লিজ!

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সমালোচনার কাঠগড়ায় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব

» নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ থেকে ২৪ বোতল দেশীয় মদ উদ্ধার,আটক ১

» জনবসতিপূর্ণ শহরে বিমান প্রশিক্ষণ কেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

» সচিবালয় ঘেরাও শিক্ষার্থীদের, পুলিশের ধাওয়া

» আহতদের জন্য ৫০ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা ঘোষণা জামায়াতের

» চট্টগ্রামে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ

» ৫ ঘণ্টা পর কলেজ থেকে বের হয়ে ফের গেটে আটকা দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব

» শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ

» ই-ক্যাবের ২৬ জুলাইয়ের নির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত

» ‘আমি তো সেদিন চলেই গিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য, জানি না কোথায় ছিলাম’

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘কিছু লোক হাসপাতালে গিয়ে লাইভ-ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, উৎসুক মানুষের ভিড়ে হাসপাতালে পানি, জরুরি সামগ্রী ও অক্সিজেনের গাড়িও ঢুকতে পারছে না। বিষয়টি লজ্জাজনক ও অমানবিক।

 

তিনি অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু লোক সেখানে গিয়ে লাইভ ও ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালের (শহীদুল্লাহ্‌ হলের পাশে) সামনে ব্যাপকসংখ্যক উৎসুক জনতার ভিড়, এতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ছাত্র ভলান্টিয়াররা অ্যাম্বুলেন্সের চলাচলের পথ ক্লিয়ার রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, এমেইজিং কাজ করছেন উনারা। কিন্তু উৎসুক জনতার ভিড় এত বেশি যে কোনো মতেই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।

 

বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, ছাত্রদের আরেকটি টিম দরকার, দয়া করে উৎসুক জনতাকে পুরো রাস্তা থেকে (এমনকি ফুটপাত) সরিয়ে দিতে চেষ্টা করুন, আগামী কয়েক ঘণ্টা রাস্তা ফাঁকা রাখতে হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এই দিকটায় মনোযোগ দিতে পারেন।

 

বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে অ্যাম্বুলেন্স আসছে উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, বিভিন্ন হসপিটাল থেকে ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউটে অ্যাম্বুলেন্স আসছে, কারণ অন্য হসপিটালগুলোর সক্ষমতা সমান নয়, এখানে তুলনামূলক ভালো চিকিৎসাসেবা আছে বিধায় সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসতে থাকবে। এমনকি হাসপাতালের পানি, জরুরি সামগ্রী এবং অক্সিজেনের গাড়িও ঢুকতে পারছে না, এক লজ্জাজনক বিষয়! অমানবিকও। বেশ কিছু লোক সেখানে গিয়ে লাইভ ও ভিডিও করে ভিউ কামাচ্ছে!

 

কিছু লোক জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, দয়া করে হসপিটালের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না, হসপিটালের ভবনে ডাক্তার এবং নার্সরা সময়মতো লিফট এবং অপরাপর সাপ্লাই ব্যবহার করতে পারছেন না। জনতার অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে পুরা হাসপাতাল স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নেগেটিভ রক্তের আর প্রয়োজন নেই, পরবর্তী সময়ে দরকার হলে জানানো হবে, যারা রক্ত দিতে চান, সেখানে না গিয়ে হটলাইনে নম্বর ও রক্তের গ্রুপ জানিয়ে রাখুন। পর্যাপ্তসংখ্যক মানুষ ইতিমধ্যেই রক্ত দিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। জরুরি প্রয়োজনে আমাদের রক্তদানে এগিয়ে আসার এই সংস্কৃতি অত্যন্ত মহৎ।

 

সর্বশেষে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, বার্ন ভিকটিমের পিতামাতা না হলে, বিভিন্ন বার্ন হাসপাতালের জরুরি নম্বরেও কল করে সেগুলো ব্যস্ত রাখবেন না, প্লিজ!

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com