কানাডার ক্যালগেরিতে সম্পন্ন হলো বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন। দীর্ঘ দুই বছর টানা বিরতির পর কানাডায় প্রবাসী বাঙালিরা যেন নতুন উদ্যমে মেতে উঠেছিল অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
প্রকৃতির লুকোচুরি আর আষাঢ়ের বৃষ্টির দেখা না মিললেও প্রকৃতি যেন এক অন্যরকম অবয়বে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার হাতছানিতে নারী পুরুষ আর শিশু কিশোরদের পদচারণায় মিশে একাকার হয়েছিল বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ক্যালগরি, কানাডার বার্ষিক বনভোজনের আয়োজনে। সারাদিন ব্যাপী এই বনভোজনের আয়োজনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিল অন্যান্য জেলার প্রবাসীরাও।
মূলত কানাডা আট মাসই বরফে ঢাকা থাকে, চার মাস থাকে গ্রীষ্ম। এই সময়টাতে কানাডিয়ানরা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় চলাফেরা করতে অভ্যস্ত। আর এই সুযোগে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয় একে অপরের সাথে। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সান্নিধ্যে কুশল বিনিময় চলে একে অপরের।
ক্যালগেরি শহরের অদূরে রকিভিউ রেঞ্জ রোড পার্কে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজনে সারাদিন ব্যাপী চলে ছোট ছোট শিশু কিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা, মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের খেলা আর বড়দের চিরাচরিত আড্ডা। পরিবার পরিজন নিয়ে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দে উৎসবে মেতে উঠে আর উপভোগ করে প্রকৃতির অবয়ব রূপ আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে। সাথে বাড়তি যোগ হয় কুমিল্লা অঞ্চলের নিজস্ব ঐতিহাসিক বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ফখরুল আলম এবং ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড.মোহাম্মদ বাতেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উম্মে হাবিবা মিলি। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন সাইফুল ইসলাম মিশন, নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আনিসুল কবির, শাহেদ আহমেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ খোকন, শরীফ সিদ্দিকী, শুভ্র দাস, ফজলে এলাহী অপু এবং হাসান রহমান।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সোহাগ হাসান এবং উম্মে হাবিবা মিলি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাফেল ড্র এবং পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আয়োজকরা জানান, খুবই ভালো লাগছে অনেকদিন পরে সবাই একত্রিত হতে পেরে। আগামী বছর আমাদের আরও বড় পরিসরে বনভোজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির মধ্যে ছিল কুমিল্লা, চাঁদপুর আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।