ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৭ এপ্রিল মুসলিম কমিউনিটিসহ ক্যালগেরির প্রবাসী বাঙালিদের ঈদের কেনাকাটাকে আরও সহজ ও উদ্বুদ্ধ করতে ইকবাল রহমান রিয়েল এস্টেট আয়োজন করতে যাচ্ছে মেগা ঈদ মেলা।
সম্প্রতি প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ঈদ মেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ক্যালগেরির ‘উৎসব সুইটস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে’ এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানানো হয়
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক ইকবাল রহমান, বারাকা এ্যপায়ারেলের স্বত্বাধিকারী আরিফা রব্বানী, হুরে জান্নাত মৌ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল প্রবাস বাংলা ভয়েসের প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইকবাল রহমান বলেন, মেগা ঈদ মেলার মূল লক্ষ্য সবাই যেন এ মেলা থেকে তাদের পছন্দের পোশাক, বিশেষ করে নারীরা তাদের পোশাকসহ সাজসজ্জার সবকিছু কিনতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পোশাক এখানে পাওয়া যাবে। মেগা ঈদ মেলা দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে।
মেলায় থাকবে বিভিন্ন রংয়ের বাহারি শাড়ি, বিভিন্ন ধরনের পোশাকের স্টল, জুয়েলারি সরঞ্জাম ও মেহেদীসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের স্টল। এছাড়াও মেলায় ইফতারির সুব্যবস্থা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাকালীন গত দুই বছরে আমরা ঘরবন্দি ছিলাম, এ অবস্থায় অনেকেই একে-অন্যের সঙ্গে মিলিত হতে পারিনি, কেনাকাটা থেকে ছিলাম বঞ্চিত। ঈদুল ফিতরের আগেই সবাই মেগা ঈদ মেলায় অংশনিয়ে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবেন।
বারাকা এ্যপায়ারেলের স্বত্বাধিকারী আরিফা রব্বানী বলেন, মেলায় নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে আসবো। নারীদের প্রচুর শাড়ি, কাপড় ও সেলোয়ার কামিজের পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবি ও ফতুয়া থাকবে।
তিনি বলেন, পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা দীর্ঘ দুই বছর পর নতুন করে মেলায় আবার সবার সঙ্গে দেখা হবে। আমার স্টলের ক্রেতাদের জন্য এবছর সারপ্রাইজ উপহারের পাশাপাশি ডিসকাউন্টের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন।
মৌ-কালেকশনের স্বত্বাধিকারী হুরে জান্নাত মৌ জানান, আমাদের স্টলে বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ ড্রেস, শাড়ি , পাঞ্জাবি ও গয়নার আইটেমসহ বাচ্চাদের সবধরনের পোশাক থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন অফারসহ রয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ধনী দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলে আসছে ঈদে সবাই আমরা ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করবো। সেই লক্ষ্যে ইকবাল রহমানের এ উদ্যোগ প্রবাসীদের ঈদের কেনাকাটায় উদ্বুদ্ধ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর আমি এটিকে শুধু কেনাকাটার মেলা হিসেবেই দেখছি না, প্রবাসের মাটিতে দেশীয় সামাজিক সংস্কৃতি, মূল্যবোধ আর কমিউনিটিতে একে-অন্যের সহমিলনের এক অপূর্ব সেতুবন্ধন হিসেবে দেখছি। ঈদের কেনাকাটা আর উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে যে পারিবারিক আদান-প্রদানের সংস্কৃতি তৈরি হয় সেটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার শত বছরের ঐতিহ্য। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম