ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : টাঙ্গাইলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে কাদের সিদ্দিকীর একান্ত সচিব ফরিদ আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিনরাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ার কাদের সিদ্দিকীর বাসভবনে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় তার দুটি গাড়ি ও বাসার জানালা ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় কাদের সিদ্দিকী বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাসভবনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বলেন, আমার বাড়িতে রাতে হামলা করেছে। কারা করেছে আমরা জানি না। বলেন, ‘রাজধানীর ৩২-এর মতো আমার বাসা ভেঙে যদি দেশে শান্তি আসে, তাহলে আমার বাসা ভাঙার সমর্থন করছি। এ ঘটনায় আমি কোনও দল বা নেতাকর্মীকে দোষারোপ করছি না। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কাজ করছি আমরা। অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে, জেলার বাসাইল উপজেলায় কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে একইস্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন। রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ ছিল। সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন দিনব্যাপী তৎপর ছিল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রসমাজের কেও অনুষ্ঠানস্থল শহীদ মিনার চত্বরে আসেনি। তবে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বশেষ উপজেলা সদর ছেড়ে কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাথুলীসাদীতে সমাবেশ করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় সেখানেও তারা যাননি। এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহান মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও কৃষক, শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বাসাইল উপজেলায় প্রবেশ করেননি। অপর পক্ষ ছাত্রসমাজের ব্যানারের নেতাদের বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।