সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সড়ক পথে সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। এরপর চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া সার্কিট হাউসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ২৩ একর জমির নিবন্ধিত দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।
বন্দরে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই ভরসা। চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এটি দুর্বল হলে চলবে না। তিনি বলেন, আমরা যদি একমত হই, বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো চট্টগ্রাম বন্দর; তাহলে এটা যে সাইজের বন্দর আছে, সেটা চলবে না। এটাকে বিশ্বসাইজের করতে হবে। তাহলে এটা দেশজুড়ে সচল হবে। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই অর্থনীতি সচল হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। আবার সারা দেশের জিনিসপত্র এ বন্দর দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। এটাই হৃৎপিণ্ডের কাজ, বন্দরের কাজ। বন্দর আরও আছে, তবে এটা হলো একেবারে কেন্দ্রীয়, বড় যে জিনিস। এখান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশ নয়; নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার হৃৎপিণ্ড। তাই আগামীর অর্থনীতির জন্য বিশ্বের সেরা অপারেটরের কাছে এ বন্দর দিয়ে দিতে হবে। দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেছিলেন। এরপর হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে যাত্রা সম্পন্ন করবেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগদানের পাশাপাশি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করবেন, যেখানে তিনি বিখ্যাত ক্ষুদ্রঋণ ধারণার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।