করোনার টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৬১ লাখ মানুষ, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখের বেশি মানুষ করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও ৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ও সাত লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮,৯১,৬৩,৯৭৮ (আট কোটি একানব্বই লাখ তেষট্টি হাজার নয়শ আটাত্তর) জনকে ১ম ডোজ এবং ৫,৭০,২০,৮৩৪ (পাঁচ কোটি সত্তর লাখ বিশ হাজার আটশ চৌত্রিশ) জনকে ২য় ডোজসহ সর্বমোট ১৪,৬১,৮৪,৮১২ (চৌদ্দ কোটি একষটি লাখ চুরাশি হাজার আটশ বার) জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

 

বুস্টার ডোজ দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারই ফল হিসেবে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে কোভিড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং যা অব্যাহত রয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় টিকাদান প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ-নিটাগ) সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশব্যাপী গত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

 

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের ৬ (ছয়) মাস অতিক্রম হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭,৪১,২৬৫ (সাত লাখ একচল্লিশ হাজার দুইশ পঁয়ষট্টি) জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের

» ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৮১১ জন আসামি গ্রেফতার

» নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

» ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

» জুলাই শহীদদের স্মরণে গণসংহতির শ্রদ্ধা, সরকারকে সতর্ক করলেন সাকি

» ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

» ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, প্রতিবছর অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার

» জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির পক্ষে শুনানি সোমবার

» ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

করোনার টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৬১ লাখ মানুষ, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখের বেশি মানুষ করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও ৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ও সাত লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮,৯১,৬৩,৯৭৮ (আট কোটি একানব্বই লাখ তেষট্টি হাজার নয়শ আটাত্তর) জনকে ১ম ডোজ এবং ৫,৭০,২০,৮৩৪ (পাঁচ কোটি সত্তর লাখ বিশ হাজার আটশ চৌত্রিশ) জনকে ২য় ডোজসহ সর্বমোট ১৪,৬১,৮৪,৮১২ (চৌদ্দ কোটি একষটি লাখ চুরাশি হাজার আটশ বার) জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

 

বুস্টার ডোজ দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারই ফল হিসেবে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে কোভিড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং যা অব্যাহত রয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় টিকাদান প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ-নিটাগ) সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশব্যাপী গত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

 

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের ৬ (ছয়) মাস অতিক্রম হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭,৪১,২৬৫ (সাত লাখ একচল্লিশ হাজার দুইশ পঁয়ষট্টি) জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com