ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : চশমার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ভরসা করেন কন্টাক্ট লেন্সে। তবে লেন্স ব্যবহারের সময় সামান্য অসাবধানতাও চোখের সংক্রমণ, অস্বস্তি বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে ব্যবহার যেমন জরুরি, তেমনি কয়েকটি সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলাও প্রয়োজন।
প্রতিটি লেন্স ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কখনও তা এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হয়। কখনও সাপ্তাহিক, কখনও বা এক মাস। এই সময়ের সীমা অতিক্রান্ত করে গেলেই অস্বস্তি হতে পারে চোখে। জীবাণু জমা হয়ে যেতে পারে বা চোখে আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যে ভুলগুলো এড়াতে হবে:
সময়সীমা না মানা : দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক—প্রতিটি লেন্সের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। তা অতিক্রম করলে জীবাণু জমে চোখে আঘাত লাগতে পারে। তাই সময় মেনে লেন্স ব্যবহার করতে হবে।
লেন্স পরে ঘুমানো : অনেকে রাতে লেন্স পরে ঘুমান। লেন্স পড়ে ঘুমালে চোখে অক্সিজেন প্রবেশ কমে যায়, ফলে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে। তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
ভুলভাবে পরিষ্কার করা : অনেকে টিউবওয়েলের পানি বা মেয়াদোত্তীর্ণ সল্যুশন দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করেন এটা বিপজ্জনক। এতে ক্ষতিকর জীবাণু চোখে ঢুকতে পারে।
হাত না ধুয়ে ব্যবহার : লেন্স পরার আগে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে মুছে নিতে হবে। নইলে হাতের জীবাণু সরাসরি চোখে যেতে পারে।
লেন্স কেস পরিষ্কার না রাখা : পুরোনো সল্যুশন জমিয়ে রাখা উচিত নয়। কেস তিন মাস পরপর বদলাতে হবে এবং প্রতিবার ব্যবহারের পর শুকিয়ে রাখতে হবে।
কমদামি সল্যুশন ব্যবহার : সব সল্যুশন লেন্স ও চোখের জন্য উপযোগী নয়। মানহীন সল্যুশনে জীবাণু নষ্ট হয় না, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কমদামি সল্যুশন এড়িয়ে চলতে হবে।
যত্রতত্র লেন্স ব্যবহার : শুষ্ক, গরম আবহাওয়া, সাঁতার বা গোসলের সময় লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়। এ সময় জীবাণু সহজেই চোখে ঢুকে যেতে পারে।
সঠিকভাবে লেন্স ব্যবহার করলে ঝুঁকি ছাড়াই এর সব সুবিধা পাওয়া সম্ভব। তাই সচেতনতা ও নিয়ম মেনে চলাটাই এখানে মূল বিষয়।