মেথি হলো এক ধরণের ভেষজ জাতীয় গাছ যা দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার দেশগুলোতে মধ্যে পাওয়া যায়। মেথির বীজগুলি দেখতে ছোট ছোট এবং সোনালি রঙের। মেথির মধ্যে থিয়ামিন, ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-এ, এবং ভিটামিন-সি পরিপূর্ণ। মেথির মধ্যে নানারকম প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে।
কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে সময় মেথি বিঁচি খেলে খাওয়ার পর পরেই টাইপ-২ ডায়বেটিস রোগিদের চিনির পরিমাণ কমে যায়। তাই দৈনন্দিন জীবনে ১/২ বার (৫-৫০) গ্রাম মেথির বিঁচি খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তবে ২.৫ গ্রাম চেয়ে কম মাত্রায় গ্রহণ করলে কোনো কাজ করবে না।
টাইপ-১ ডায়বেটিস জন্য দৈনিক ৫০ গ্রাম মেথি দুই বার গ্রহণ করলে তা প্রস্রাবে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
মেথি দানা বা বিচিঁ হলো লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজের এক উৎস। মেথির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (anti-oxident) এবং আন্টি-ইনফ্লামমাটোরি (Anti-inflammatory) বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে।
মেথি বীজে এক ফাইবার থাকে যা ‘Galactomannan’ নামে সুপরিচিত এবং সহজে পানিতে গলে যায়। এই ফাইবারটি ওজন কমাতে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি শরীরের মেটাবলিসম বৃদ্ধি করে, যার ফলে মেদ ঝরে যাওয়া এবং অন্য এডিপোশ টিস্যুর কার্যক্ষমতা কমে যায়। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা যায়, ৫০০ মিলিগ্রাম মেথি ৮ সপ্তাহ ধরে খেলে শরীরে চর্বির পরিমাণ একেবারেই কমে যায়।
এছাড়াও মেথির বীজে উপস্থিত আছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ, যা আপনার ব্রণ (acne) নির্মূল করতে সাহায্য করে। শুধুমাএ মেথির দানা আর গরম পানি ব্যবহার করে ব্রণ মুক্ত ত্বক পাওয়া যায়। মেথির বীজ বা দানা ব্যবাহারের ফলে ত্বককে সজীব ও সুন্দর দেখায়। ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেবার ক্ষমতা রাখে মেথি। ফলে ত্বক তরুণ বা যৌবন ফিরে পায় ও ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।