ছবি সংগৃহীত
১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়া রাইকে হারিয়ে ‘মিস ইন্ডিয়া’ জিতেছিলেন বঙ্গসুন্দরী খ্যাত সুস্মিতা সেন। তারা দুজনই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের দেশকে সম্মান এনে দিয়েছিল ঠিক; কিন্তু এই দুই সুন্দরীর ভেতরে ছিল এক অদৃশ্য শত্রুতা। একে অপরকে যেন টক্কর দিয়ে চলতেন ঐশ্বরিয়া-সুস্মিতা।
তবে প্রতিষ্ঠিত মডেল তথা ‘সৌন্দর্যের দেবী’ হিসেবে খ্যাত ঐশ্বরিয়াকে হারানো নাকি সহজ ছিল না সুস্মিতার কাছে। নিজের মুখে অভিনেত্রী বলেছেন, সেইবার তিনিও অনেক মেয়ের মতো মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছিলেন। নেপথ্যে ছিল ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি! তবে কী ঐশ্বরিয়াকে ভয় পেতেন সুস্মিতা?
প্রতিযোগিতার এক কর্মী সুস্মিতাকে বলে বসেন যে, ‘আপনি নাম জমা দেওয়ার আগে ভেবে নিন। ঐশ্বরিয়া রাই অংশগ্রহণ করছেন।’ সুস্মিতা তখন ফর্ম ফেরত নিয়ে নেন।
কিন্তু বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে বকুনি খেলে মায়ের কথা শুনে আবার প্রতিযোগিতায় যোগ দেন সুস্মিতা। তার মা তাকে বলেন, ‘চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দিলে তুমি? তোমার যদি মনেই হয় ঐশ্বরিয়া খুব সুন্দরী, সে জিতবেই, তাহলে তার কাছে হারতে অসুবিধা কোথায়?’
তারই ফলাফল, ঐশ্বরিয়াকে হারিয়ে দেন তিনি। অর্জন করেন ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট। আর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ঐশ্বরিয়া। পরবর্তীকালে ঐশ্বরিয়াকে তিনি নিজেই এই গল্প বলেছিলেন।
সেই হার হজম করতেও কষ্ট হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার। এরপর থেকেই দুজনের শত্রুতা, রেষারেষি কিংবা ঝামেলা নিয়ে বহু রসালো খবর উঠে আসে। এরপর থেকে ওপর দিয়ে একজন আরেকজনকে সম্মান দিলেও ভেতরে ভেতরে ছিল বিদ্বেষে পরিপূর্ণ।
এর আগে কফি উইথ করণের মঞ্চে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বাঁকা প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন সুস্মিতা। যোগ্য হিসেবেই কি মিস ইন্ডিয়ার মুকুট উঠেছিল তার মাথায়? বঙ্গকন্যার জবাব ছিল- ‘আমি দুটো জিনিসে বিশ্বাস করি। এক, ওই রাতে, আমি সেরা ছিলাম এবং সেই কারণেই আমি জেতার যোগ্যও ছিলাম। অন্য কারোর থেকে ভালো ছিলাম বলে নয়। একটাই কারণ আমিই সেরা। আর দ্বিতীয় হল আমি মনে করি আমি ওই রাতে অন্য সবার চেয়ে ভাগ্যবান ছিলাম, ভাগ্য সব সময় সাহসীকে সাহায্য করে।’ সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম