বাহরাইনে এএফসি কংগ্রেস থেকে এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যেখানে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজনের স্বত্ত্ব পেয়েছে সৌদি আরব। টুর্নামেন্টের ৬৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এশিয়ান কাপ আয়োজন করবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এখন তাদের লক্ষ্য, এশিয়া কাপের পর ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া।
ফিফা বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জানিয়েছিলেন, এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজন করতে চায় তার দেশ। অবশেষে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বাহরাইনের এএফসি কংগ্রেস থেকে সুখবর পেয়েছে সৌদি। আর ফলে প্রথমবারের মতো এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বসবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে।
আরব আমিরাত, কাতারের মতো সৌদি আরবও বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্বের আরো কাছে যেতে চায় তারা। আর তার সবচেয়ে বড় মাধ্যম যে ফুটবল, সেটা কারোরই অজানা নয়। মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ভুল ধারণাও দিন দিন ভাঙছে। কাতার বিশ্বকাপই যার বড় উদাহরণ।
বিশ্বকাপ আয়োজনের আগে মেসি-এমবাপ্পে-নেইমারদের দলে ভিড়িয়ে পিএসজির মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং করে কাতার। আপাতত এশিয়া কাপের আয়োজক স্বত্ত্ব পেলেও সৌদি আরবের মূল লক্ষ্য ২০৩০ বিশ্বকাপ। যার জন্য চড়া পারিশ্রমিকে দেশটিতে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এ বিষয়ে এক স্বপ্নবাজ সমর্থক বলেন, সফলভাবে ২০২৭ এশিয়ান কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের সামর্থ্য আছে তাদের। আমাদের শক্তিশালী অবকাঠামো ও বিশ্বমানের কিছু স্টেডিয়াম আছে যেখানে অনেক সমর্থক একসঙ্গে খেলা উপভোগ করতে পারবে।
সৌদির বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন পূরণে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বড় অবদান রাখতে পারবেন বলেই বিশ্বাস দেশটির সমর্থকদের। তার মতো বৈশ্বিক তারকা দেশটির লিগে খেলে তাদের ফুটবলের পরিচিতি এনে দিচ্ছেন বলেও বিশ্বাস তাদের।
এক সমর্থক বলেন, এটা সৌদি আরবের ভবিষ্যত খেলাধুলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন বিশ্বজুড়ে সৌদিকে তুলে ধরছেন। সৌদি আরবও বৈশ্বিক ইভেন্টের অন্যতম একটা ক্ষেত্র হতে পারে, যেটা এ দেশের জন্য খুবই ভালো একটা ব্যাপার।
কেউবা মনে করছেন এই আয়োজন নারী পুরুষের নতুন কর্মসংস্থান দেবে, এটা সৌদি আরবের জন্য খুব ইতিবাচকভাবে হবে। একই সঙ্গে নারী পুরুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে। যা ২০৩০ সৌদি ভিশন বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
এদিকে তৃতীয় মেয়াদে এএফসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাহরাইনের সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা।