‘এলটি অনলাইন মার্কেটিং’-এর ফাঁদ হাতিয়ে নিয়েছে ৪০ কোটি টাকা

খুলনার কয়রার দেয়াড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক সবুজ। ভ্যান চালানোর পাশাপাশি দিনমজুর পিতার সঙ্গে তিনিও মাঝেমধ্যে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতেন বাইরের কোনো শহরে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত টাকা দিয়ে একটি গরুও কেনেন তিনি। তাদের আয়ে সংসার চলছিল মোটামুটি। এরইমধ্যে এলাকার এক স্বজনের প্ররোচণায় স্বপ্ন দেখেন লাখপতি হওয়ার। কষ্টে অর্জিত ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন ১৪ পিস টি-শার্ট। শুরু করেন স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখার কাজ। লাখপতি হওয়ার স্বপ্নে গরুসহ নিজের রোজগারের অবলস্বন ভ্যানটি বিক্রি করে আরও ৪৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন আইডি।

কিন্তু আজ তার আইডিতে ৪০ হাজারের ওপরে টাকা জমা হলেও তুলতে না পারায় নিঃস্ব হয়ে পাগলপ্রায় তিনি।
সবুজের ছোট চাচি আমেনা দিনমজুর স্বামীর সংসার থেকে অল্প অল্প করে জমানো ১৪ হাজার টাকা দিয়ে আইডি খুলে ওয়ান স্টার হন। পার্শ্ববর্তী এসএসসি পাস করা বাবু চলতি বছরে পিতার নামে সমিতি থেকে তুলে ২০ হাজার টাকায় আইডি কিনে শুরু করেন ব্যবসা। একই গ্রামের বেকার যুবক মোস্তাফিজুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি নিজে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ওয়ান স্টার হয়ে অন্য গ্রামের এক শিক্ষকের ২ স্টার বানানোর কথা বলে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নিয়ে ১৪৪টি আইডি কিনে দেয়। মোস্তাফিজুরের নিজের টাকা নিয়ে চিন্তা না করলেও চরম বিপদে পড়েছেন ওই শিক্ষকের টাকা নিয়ে। সবুজ, আমেনা, বাবু কিংবা মোস্তাফিজুর নয়, ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শত শত মানুষ কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্ররোচণায় প্রলোভনে পড়ে লাখপতির আশায় আইডি খুলে খুইয়েছেন অর্থ-সম্পদ, অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কোম্পানিতে সারা দেশের ৪ লাখের বেশি আইডির মাধ্যমে প্রায় ২ বছরে ৪০ কোটি টাকার ওপরে জমা পড়ে। তবে একজন একাধিক আইডি খোলায় সক্রিয় কর্মী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। যার অধিকাংশই খুলনা বিভাগের মানুষ। আর খুলনা বিভাগের মধ্যে বেশি ছড়িয়েছে ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলায়। কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকের প্রতি আইডির দাম এক হাজার টাকা। আর এক আইডি দিয়ে ২২০ দিন পর্যন্ত দৈনিক বিজ্ঞাপন দেখে পাওয়া যাবে ১২ টাকা। আর ১৪টি আইডি খুললে তাকে দেয়া হয় ‘ওয়ান স্টার’, ১৪৪টি আইডি খুললে ‘টু স্টার’ এভাবে গ্রাহককে প্রলোভন দেখিয়ে নতুন নতুন আইডি খুলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। বেকারত্বের সুযোগে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে এভাবে প্রায় ৪০ কোটির ওপরে টাকা লুফে নিয়েছে ‘এলটি অনলাইন মার্কেটিং’ নামের এই প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি শুরুতে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গ্রাহককে টাকা তোলার সুযোগ দিলেও যখন এই গ্রাহকের প্রদত্ত অর্থ ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যায় তখনই বেরিয়ে আসে কোম্পানিটির আসল চেহারা। আরও জানা যায়, টি-শার্ট বিক্রি করে টাকা নেয়ার পাশাপাশি তাদের শেয়ার ও ডিলার বিক্রিসহ গ্রাহকের বিজ্ঞাপন দেখা অর্থ পরিশোধ না করে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসার নামে নতুন প্রতারণার ফাঁদ। তাছাড়া আরও চালু করে ১৪/২০ নামের আরেকটি প্রতারণার ফাঁদ।

 

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম কোম্পানির এমডি নামে পরিচিত আর চেয়ারম্যান হিসেবে আছে শামীম নামে ঝিনাইদহের আরেক ব্যক্তি। এছাড়া ঝিনাইদহের বাবুল ও আ. রাজ্জাক এ কোম্পানি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। আরও আছে নড়াইলের হামিম, যশোরের নওয়াপাড়ার তৌহিদ ও চট্টগ্রামের কামরুল ইসলাম রিয়াদ। তাজুল ইসলাম তাজ নামের একজন পরিচালক হিসেবে পরিচিত। কোম্পানিটি ২০২০ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকের টাকা নিয়ে তালবাহনা শুরু হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির এমডি খোরশেদ আলম ও চেয়ারম্যান শামীমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে পরিচালক হিসেবে পরিচিত তাজুল ইসলাম তাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি জানান, ৪ লাখের বেশি আইডি রয়েছে। আর তারা বাইনারী পদ্ধতিতে ই-কমার্স ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ গ্রাহকের মধ্যে বণ্টন করছেন। এমএলএম’র সিস্টেমে করছেন কিনা এবং এমএলএম’র লাইসেন্স আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি এমএলএম নয়, ই-কমার্স। আর জয়েন্ট স্টকের ব্যবসায়িক লাইসেন্স রয়েছে। ব্যবসা করলে নিম্নমানের একটি টি-শার্টের মূল্য ১ হাজার টাকা নিচ্ছেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একই পণ্যের দাম স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। গ্রাহকের টাকা উইড্রো’র বিষয়ে জানান, ই-কমার্স খাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে মার্চের প্রথমদিকে সমাধানে আসতে পারবেন তারা।

সূূূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঐক্যের ডাকে রাজুতে নতুন কর্মসূচি

» ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের পরবর্তী শুনানি সোমবার

» আরেকটা এক-এগারো চাই না, আর চুপ থাকব না : রিফাত রশিদ

» প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াত আমির

» আসিফ, মাহফুজ, হাসনাত কিংবা হান্নান সবাইকেই টার্গেট করা হয়েছে: হান্নান মাসউদ

» আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাই না : গয়েশ্বর চন্দ্র

» ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে: খন্দকার মোশাররফ

» প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে নাহিদের বৈঠক

» দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য, আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ মাহফুজের

» ইসলামপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘এলটি অনলাইন মার্কেটিং’-এর ফাঁদ হাতিয়ে নিয়েছে ৪০ কোটি টাকা

খুলনার কয়রার দেয়াড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক সবুজ। ভ্যান চালানোর পাশাপাশি দিনমজুর পিতার সঙ্গে তিনিও মাঝেমধ্যে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতেন বাইরের কোনো শহরে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত টাকা দিয়ে একটি গরুও কেনেন তিনি। তাদের আয়ে সংসার চলছিল মোটামুটি। এরইমধ্যে এলাকার এক স্বজনের প্ররোচণায় স্বপ্ন দেখেন লাখপতি হওয়ার। কষ্টে অর্জিত ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন ১৪ পিস টি-শার্ট। শুরু করেন স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখার কাজ। লাখপতি হওয়ার স্বপ্নে গরুসহ নিজের রোজগারের অবলস্বন ভ্যানটি বিক্রি করে আরও ৪৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন আইডি।

কিন্তু আজ তার আইডিতে ৪০ হাজারের ওপরে টাকা জমা হলেও তুলতে না পারায় নিঃস্ব হয়ে পাগলপ্রায় তিনি।
সবুজের ছোট চাচি আমেনা দিনমজুর স্বামীর সংসার থেকে অল্প অল্প করে জমানো ১৪ হাজার টাকা দিয়ে আইডি খুলে ওয়ান স্টার হন। পার্শ্ববর্তী এসএসসি পাস করা বাবু চলতি বছরে পিতার নামে সমিতি থেকে তুলে ২০ হাজার টাকায় আইডি কিনে শুরু করেন ব্যবসা। একই গ্রামের বেকার যুবক মোস্তাফিজুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি নিজে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ওয়ান স্টার হয়ে অন্য গ্রামের এক শিক্ষকের ২ স্টার বানানোর কথা বলে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নিয়ে ১৪৪টি আইডি কিনে দেয়। মোস্তাফিজুরের নিজের টাকা নিয়ে চিন্তা না করলেও চরম বিপদে পড়েছেন ওই শিক্ষকের টাকা নিয়ে। সবুজ, আমেনা, বাবু কিংবা মোস্তাফিজুর নয়, ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শত শত মানুষ কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্ররোচণায় প্রলোভনে পড়ে লাখপতির আশায় আইডি খুলে খুইয়েছেন অর্থ-সম্পদ, অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কোম্পানিতে সারা দেশের ৪ লাখের বেশি আইডির মাধ্যমে প্রায় ২ বছরে ৪০ কোটি টাকার ওপরে জমা পড়ে। তবে একজন একাধিক আইডি খোলায় সক্রিয় কর্মী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। যার অধিকাংশই খুলনা বিভাগের মানুষ। আর খুলনা বিভাগের মধ্যে বেশি ছড়িয়েছে ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলায়। কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকের প্রতি আইডির দাম এক হাজার টাকা। আর এক আইডি দিয়ে ২২০ দিন পর্যন্ত দৈনিক বিজ্ঞাপন দেখে পাওয়া যাবে ১২ টাকা। আর ১৪টি আইডি খুললে তাকে দেয়া হয় ‘ওয়ান স্টার’, ১৪৪টি আইডি খুললে ‘টু স্টার’ এভাবে গ্রাহককে প্রলোভন দেখিয়ে নতুন নতুন আইডি খুলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। বেকারত্বের সুযোগে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে এভাবে প্রায় ৪০ কোটির ওপরে টাকা লুফে নিয়েছে ‘এলটি অনলাইন মার্কেটিং’ নামের এই প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি শুরুতে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গ্রাহককে টাকা তোলার সুযোগ দিলেও যখন এই গ্রাহকের প্রদত্ত অর্থ ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যায় তখনই বেরিয়ে আসে কোম্পানিটির আসল চেহারা। আরও জানা যায়, টি-শার্ট বিক্রি করে টাকা নেয়ার পাশাপাশি তাদের শেয়ার ও ডিলার বিক্রিসহ গ্রাহকের বিজ্ঞাপন দেখা অর্থ পরিশোধ না করে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসার নামে নতুন প্রতারণার ফাঁদ। তাছাড়া আরও চালু করে ১৪/২০ নামের আরেকটি প্রতারণার ফাঁদ।

 

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম কোম্পানির এমডি নামে পরিচিত আর চেয়ারম্যান হিসেবে আছে শামীম নামে ঝিনাইদহের আরেক ব্যক্তি। এছাড়া ঝিনাইদহের বাবুল ও আ. রাজ্জাক এ কোম্পানি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। আরও আছে নড়াইলের হামিম, যশোরের নওয়াপাড়ার তৌহিদ ও চট্টগ্রামের কামরুল ইসলাম রিয়াদ। তাজুল ইসলাম তাজ নামের একজন পরিচালক হিসেবে পরিচিত। কোম্পানিটি ২০২০ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকের টাকা নিয়ে তালবাহনা শুরু হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির এমডি খোরশেদ আলম ও চেয়ারম্যান শামীমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে পরিচালক হিসেবে পরিচিত তাজুল ইসলাম তাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি জানান, ৪ লাখের বেশি আইডি রয়েছে। আর তারা বাইনারী পদ্ধতিতে ই-কমার্স ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ গ্রাহকের মধ্যে বণ্টন করছেন। এমএলএম’র সিস্টেমে করছেন কিনা এবং এমএলএম’র লাইসেন্স আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি এমএলএম নয়, ই-কমার্স। আর জয়েন্ট স্টকের ব্যবসায়িক লাইসেন্স রয়েছে। ব্যবসা করলে নিম্নমানের একটি টি-শার্টের মূল্য ১ হাজার টাকা নিচ্ছেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একই পণ্যের দাম স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। গ্রাহকের টাকা উইড্রো’র বিষয়ে জানান, ই-কমার্স খাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে মার্চের প্রথমদিকে সমাধানে আসতে পারবেন তারা।

সূূূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com