এরশাদ শিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরিন এশা আত্মহত্যার প্ররোচনার করা মামলায় তার প্রেমিক প্লাবন ঘোষের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে প্লাবনের বয়স উল্লেখ করা হয় ২৪ বছর। তবে পুলিশ প্লাবনের বয়স ১৭ বছর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে দোষীপত্র আদালতে জমা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওহিদুল এ দোষীপত্র দাখিল করেন। মামলার এজাহারে প্লাবনের বয়স উল্লেখ করা হয় ২৪ বছর। তবে পুলিশ প্লাবনের বয়স ১৭ বছর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে দোষীপত্র আদালতে জমা দিয়েছে। মামলাটি বিচারের জন্য বদলি করা হয়েছে।
দোষীপত্রে বলা হয়, মামলার ঘটনার বেশকিছু দিন আগে ভিকটিম এশার সঙ্গে প্লাবন ঘোষের পরিচয় হয়। পরবর্তীসময়ে প্লাবনের সঙ্গে এশার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। গত ৩ মার্চ রাতে বাইরে ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে প্লাবনের মোবাইলে বারবার কল আসাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের সঙ্গে প্লাবনের বাগবিতণ্ডা হয়। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় ওই রাত ১১টার দিকে সুমি এশা ও প্লাবনকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তিনি দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সুমি অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে প্লাবন এশাকে বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ভোর পৌনে ৫টার দিকে এশা বাসায় ফিরে তার বেডরুমে ঢুকে রুমের দরজা আটকে দেয়। এরপর এশা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
গত ৩ মার্চ রাজধানীতে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে নিজ বাসায় জান্নাতুল নওরিন এশা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গত ৪ মার্চ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ৫ মার্চ এশার মা ও এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা নাহার প্লাবন ঘোষকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন। এ মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান প্লাবন ঘোষ। পরে গত ১৯ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন পান তিনি।