সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : এপিএস মোয়াজ্জেম এত দুর্নীতি করলেন, অথচ মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কিছুই জানতেন না; এটা কীভাবে সম্ভব? এমন প্রশ্ন তুলে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (১১ জুন) সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।
রাশেদ খান বলেন, ‘যেভাবে এপিএস মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, ঠিক একইভাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়কে নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ওই মন্ত্রণালয়ে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়েও তদন্ত হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকার গঠিত হলেও এখন একক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। যা স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিফলন। উপদেষ্টারা বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে এপ্রিল মাসে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল গরমের মাস, তখন ভোটার উপস্থিতি কম থাকাই স্বাভাবিক। সেই সুযোগে কম ভোট দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে। এটি ১/১১ ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা এখন প্রধান উপদেষ্টা ও গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শেখ পরিবারের কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, বিতর্কিত এমপি-মন্ত্রী ও শেখ পরিবারের সদস্যরা কীভাবে দেশ ছাড়ল? কে তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? সরকারকে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকারের উপদেষ্টারা পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।