সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে প্রবাসীদের প্রত্যাশা শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) কুয়ালামাপুরের একটি হোটেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপি মালয়েশিয়ার সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক। এছাড়া মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের নির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এনসিপির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চান এবং নেতারা বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করেন। আলোচনার প্রথম পর্বে এনসিপির ৫টি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আলোচনা করেন আলাউদ্দীন মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান যেটি এনসিপি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান এনসিপির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জাল ভেদ করতে পারেনি তখন এনসিপির আজকের তরুণ নেতৃত্বই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবন বাজি রেখে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। তাই পরিপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এনসিপি সোচ্চার থাকবে।
এনসিপির জন্মের পূর্ব থেকেই নেতারা গণবিরোধী ও বহি:রাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিয়ে এখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতির ভিত রচনা করেছে। এনসিপি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের জনগণের সম্মতির বাইরে কোনো দেশের বা বহি:রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের মাধ্যমে তার রাজনীতি চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এনসিপি অতীতে জাতীয়তাবাদের নামে, পরিচয়ের নামে, ধর্মের নামে, আদর্শের নামে জাতিকে বিভক্ত রাখার রাজনীতিকে খারিজ করে বিরল ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করেই স্বৈরতন্ত্রের উৎখাত করেছিল। আগামী দিনগুলোতেও বৈচিত্র্যের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই এনসিপি বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
এনসিপি গণঅভ্যুত্থানকারী প্রজন্মের প্রতিনিধি যারা যে কোনো মূল্যে এই প্রজন্মের মূল্যবোধ ও আশা আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ তৈরি করতে চায়। আজকের তরুণ আগামী দিন জাতির হাল ধরবে। তাই তরুণদের রাষ্ট্রগঠনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনই এনসিপির আগামীর রাষ্ট্রকল্প।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান এনসিপির আগামীর কর্মপরিকল্পনা তুলে বলেন, নাগরিক অধিকারভিত্তিক রাজনীতি যেমন নাগরিকদের প্রাইভেসি, মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, নাগরিক অধিকার, সেল্ফ রেস্পেক্টসহ ইত্যাদি নাগরিক অধিকারভিত্তিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মূলধারায় যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাওয়া এনসিপির অন্যতম লক্ষ্য।
আলোচনা সভায় প্রবাসীরা মালয়েশিয়ায় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা, অ্যাটেস্টেশন ফি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ প্রবাসীদের কল্যাণ সাধনে এনসিপির অবস্থান ও পরিকল্পনা জানতে চান।