এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দেন সোহাগের বোন: ডিএমপি কমিশনার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। নিহতের বোন আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

 

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিহতের বোন আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। ঘটনার পর পরই থানায় উপস্থিত হয়ে সোহাগের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী লাকি এবং সৎ ভাই রনি দুজনে মিলে পরামর্শ করে ২৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এজাহারের খসড়া তৈরি করেন। পরে সোহাগের বোন মুঞ্জয়ারা বেগম থানায় উপস্থিত হয়ে নিজে মামলার বাদী হবেন বলে জানালে সে অনুযায়ী মামলা নেয় পুলিশ। এজাহারে মোট ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

 

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (এডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দীন, মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রমুখ।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা নয়জন। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই পটুয়াখালী থেকে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম হওয়া অভি নামে এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন সোহাগ।

 

তিনি বলেন, নিহতের বোনের এজাহার দাখিলের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কোনো ঘটনা এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারের উল্লিখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনা চলাকালীন ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় অভিযুক্তরা একটা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগান দিচ্ছিল। এ অবস্থা চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো- মামলা দায়েরের জন্য নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় আসে, কিছুক্ষণ পর সোহাগের সৎ ভাই রনিও থানায় আসে। তারা নিজের মধ্যে পরামর্শ করে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রায়পুরে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহেলা সুলতানার দিক নির্দেশনায় চলছে কৃষি বাগান

» লাইফটাইম ডিসপ্লে ওয়ারেন্টিসহ সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ সিরিজ

» জামালপুরে শহীদ সাফওয়ান আখতার সদ্যের কবর জিয়ারত

» অবৈধ সম্পদ অর্জন সাবেক এমপির এপিএস অচীন কুমার দাসের দুই কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

» গোপালগঞ্জে ডিসির বাংলোয় হামলা, পুলিশ সদস্য আহত

» সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

» এনসিপি বিপ্লবীদের দল, এরা ভয় পায় না: হান্নান মাসউদ

» উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ, এখনই সময় খালেদা জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাস্তবায়নের : পিনাকী

» আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে কেউ আটকাতে পারবে না : আব্দুস সালাম

» গোপালগঞ্জের ঘটনায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে জুলাই যোদ্ধাদের উদ্ধার করুন : রাশেদ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দেন সোহাগের বোন: ডিএমপি কমিশনার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। নিহতের বোন আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

 

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিহতের বোন আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। ঘটনার পর পরই থানায় উপস্থিত হয়ে সোহাগের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী লাকি এবং সৎ ভাই রনি দুজনে মিলে পরামর্শ করে ২৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এজাহারের খসড়া তৈরি করেন। পরে সোহাগের বোন মুঞ্জয়ারা বেগম থানায় উপস্থিত হয়ে নিজে মামলার বাদী হবেন বলে জানালে সে অনুযায়ী মামলা নেয় পুলিশ। এজাহারে মোট ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

 

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (এডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দীন, মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রমুখ।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা নয়জন। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই পটুয়াখালী থেকে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম হওয়া অভি নামে এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন সোহাগ।

 

তিনি বলেন, নিহতের বোনের এজাহার দাখিলের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কোনো ঘটনা এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারের উল্লিখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনা চলাকালীন ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় অভিযুক্তরা একটা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগান দিচ্ছিল। এ অবস্থা চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো- মামলা দায়েরের জন্য নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় আসে, কিছুক্ষণ পর সোহাগের সৎ ভাই রনিও থানায় আসে। তারা নিজের মধ্যে পরামর্শ করে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com