এক বার্গারের দাম ৬ লাখ টাকা

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গারের দাম ৫ হাজার ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় কিনতে লাগবে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৭১ টাকা। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই হ্যামবার্গার। যা শেফ রবার্ট জান ডি ভিন নেদারল্যান্ডসের ভুরথুজেনের গেল্ডারল্যান্ডের ডাল্টন রেস্তোরাঁয় মেনুতে রেখেছিলেন।

 

এই বার্গারকে বলা হয় ‘দ্য গোল্ডেন বয়’। নাম এবং দাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি মোটেই সাধারণ বার্গারের মতো নয়। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সোনা এবং বিশ্বের অন্যতম এক দামি খাবার ক্যাভিয়ার। ক্যাভিয়ার মূলত মাছের ডিম, যা কেবলমাত্র এক প্রজাতির মাছ থেকে পাওয়া যায়।

 

করোনা মহামারির সময়ে এই বার্গার তৈরি করেন শেফ রবার্ট। সে সময় রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া নিষেধ ছিল। যে কারণে টেকওয়ে বা বাড়িতে খাবার নিয়ে খাওয়ার চল খুব বেড়ে গিয়েছিল। তেমনই এক রাতে শেফ রেস্তোরাঁয় খাবার বানাচ্ছিলেন। নতুন এক শেফকেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। তখনই তার মাথায় এই বার্গারের ভাবনা আসে।

এটি আকার নীতি সাধারণ বার্গারের মতোই রাখতে চাইছিলেন। রবার্ট শুধু ব্যয়বহুল উপাদান ব্যবহার করে এটিকে দামি করেননি, খেয়াল রেখেছেন এর স্বাদ ঠিক রাখার। ডোম পেরিগনন শ্যাম্পেন ব্যবহার করে বানটি তৈরি করেন এবং সামান্য টোস্ট করেন। তবে ভেতরটা যেন নরম থাকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখেন। এরপর সোনার পাতায় মুড়িয়ে দেন বানটিকে।

 

এরপর স্টাফিং হিসেবে ব্যবহার করেন ওয়াগিউ গরুর মাংস থেকে তৈরি এবং রাজা কাঁকড়া এবং ক্যাভিয়ার। শ্যাম্পেনে ভেজানো পেঁয়াজের রিং ব্যবহার করেন। এছাড়া নোনতা, টক ও মিষ্টি স্বাদের নিজের তৈরি একটি বার্গার সস ব্যবহার করেন। রবার্টের জন্য বার্গারে এত বেশি উপাদান ব্যবহার করেও এর স্বাদ ঠিক রাখা বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

রবার্ট বার্গার তৈরি করেছিলেন শুধু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শিরোপাধারী হওয়ার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ করতে নয়, নেদারল্যান্ডে দারিদ্র্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও। শেফ একটি স্থানীয় ফুডব্যাঙ্কে বিক্রি করা প্রথম গোল্ডেন বয় বার্গার থেকে প্রাপ্ত ৫ হাজার ইউরো দান করেন এক দরিদ্র পরিবারকে।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘সন্ধান মিলল জাফর ইকবালের পূর্ব পুরুষ “ক্যাপুচিন প্রজাতির” বানরদের’ : ইলিয়াস হোসেন

» অপসারণ নয়, নিজ থেকেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব : উপদেষ্টা

» আমি বিদেশি হলে তারেক রহমানকেও বিদেশি নাগরিক বলতে হয় : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

» সুন্দরবনের দুয়ার তিন মাসের জন্য বন্ধ: জেলেদের জীবন-জীবিকার সংকটে সরকারি সহায়তার দাবি

» মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা গড়তে চান ওসি মোঃ মতলুবর রহমান

» রবি নিয়ে এলো হাজীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

» আগৈলঝাড়ায় গ্রাম আদালত শক্তিশালী করার লক্ষে প্রশিক্ষণ

» ‘তারা’ গ্রাহকদের নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজন ‘প্যারেন্টিং: আ শেয়ার্ড জার্নি অব পার্টনারশিপ’

» গ্রাহকদের জন্য সহজ স্বাস্থ্যসেবা আনল গ্রামীণফোন ও সুখী

» উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে বলেন শেখ হাসিনা ও আপনাদের মধ্যে পার্থক্য কি : দুলু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এক বার্গারের দাম ৬ লাখ টাকা

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গারের দাম ৫ হাজার ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় কিনতে লাগবে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৭১ টাকা। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই হ্যামবার্গার। যা শেফ রবার্ট জান ডি ভিন নেদারল্যান্ডসের ভুরথুজেনের গেল্ডারল্যান্ডের ডাল্টন রেস্তোরাঁয় মেনুতে রেখেছিলেন।

 

এই বার্গারকে বলা হয় ‘দ্য গোল্ডেন বয়’। নাম এবং দাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি মোটেই সাধারণ বার্গারের মতো নয়। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সোনা এবং বিশ্বের অন্যতম এক দামি খাবার ক্যাভিয়ার। ক্যাভিয়ার মূলত মাছের ডিম, যা কেবলমাত্র এক প্রজাতির মাছ থেকে পাওয়া যায়।

 

করোনা মহামারির সময়ে এই বার্গার তৈরি করেন শেফ রবার্ট। সে সময় রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া নিষেধ ছিল। যে কারণে টেকওয়ে বা বাড়িতে খাবার নিয়ে খাওয়ার চল খুব বেড়ে গিয়েছিল। তেমনই এক রাতে শেফ রেস্তোরাঁয় খাবার বানাচ্ছিলেন। নতুন এক শেফকেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। তখনই তার মাথায় এই বার্গারের ভাবনা আসে।

এটি আকার নীতি সাধারণ বার্গারের মতোই রাখতে চাইছিলেন। রবার্ট শুধু ব্যয়বহুল উপাদান ব্যবহার করে এটিকে দামি করেননি, খেয়াল রেখেছেন এর স্বাদ ঠিক রাখার। ডোম পেরিগনন শ্যাম্পেন ব্যবহার করে বানটি তৈরি করেন এবং সামান্য টোস্ট করেন। তবে ভেতরটা যেন নরম থাকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখেন। এরপর সোনার পাতায় মুড়িয়ে দেন বানটিকে।

 

এরপর স্টাফিং হিসেবে ব্যবহার করেন ওয়াগিউ গরুর মাংস থেকে তৈরি এবং রাজা কাঁকড়া এবং ক্যাভিয়ার। শ্যাম্পেনে ভেজানো পেঁয়াজের রিং ব্যবহার করেন। এছাড়া নোনতা, টক ও মিষ্টি স্বাদের নিজের তৈরি একটি বার্গার সস ব্যবহার করেন। রবার্টের জন্য বার্গারে এত বেশি উপাদান ব্যবহার করেও এর স্বাদ ঠিক রাখা বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

রবার্ট বার্গার তৈরি করেছিলেন শুধু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শিরোপাধারী হওয়ার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ করতে নয়, নেদারল্যান্ডে দারিদ্র্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও। শেফ একটি স্থানীয় ফুডব্যাঙ্কে বিক্রি করা প্রথম গোল্ডেন বয় বার্গার থেকে প্রাপ্ত ৫ হাজার ইউরো দান করেন এক দরিদ্র পরিবারকে।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com