ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে চার কেজি ওজনের একটি ইলিশ ধরা পড়েছে। যা নিলামে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আজ বিকেলে মাছটি চেয়ারম্যান ঘাটের মেসার্স আল্লাহর দান মৎস্য আড়তে বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, হাতিয়া উপজেলার জেলে মো. নুর উল্লাহ মেঘনা নদীতে থাকা চরে জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর ভাটা আসলে সেই জাল তুলেন। এ সময় বেশ কিছু সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে বড় আকারের একটি রানি ইলিশ ধরা পড়ে। পরে মাছটির দাম ভালো পেতে তিনি চেয়ারম্যান ঘাটের মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। পরে তিনি মেসার্স আল্লাহর দান মৎস্য আড়তে এনে বিক্রি করেন। মাছটি জমিদার হাজী বেপারী ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে কৌতূহলী লোকজন ভিড় জমায়।
জেলে নুর উল্লাহ বলেন, চরঘেরা জালে কখনো এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আমরা পোয়া মাছসহ বিভিন্ন মাছ পাই। তা দিনে এনে দিনে বিক্রি করি। আজ চার কেজির রানি ইলিশ ভালো দামে বিক্রি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি।
মেসার্স আল্লাহর দান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মো. আকবর বলেন, নদীতে এখন বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে না বললেই চলে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে এ ধরনের বিশাল আকারের রানি ইলিশ পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। বর্তমানে ভরা মৌসুমেও মাছের আকাল রয়েছে। যার ফলে জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার, শ্রমিক সবাই ঋণে জর্জরিত। কেউ মাছ পাচ্ছেন আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না। তবে মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটতো।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।