সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :মেট্রোরেলে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একক যাত্রার কার্ড ইস্যু করতে অনেক সময় লাগছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এ সাময়িক অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে যাত্রীরা যেন কিউআর কোডের মাধ্যমে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন সেই ব্যবস্থার দিকেও নজর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার রাতে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চাহিদা মতো গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীবহুল মেট্রো স্টেশনগুলোতে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট ইস্যু করতে অধিক সময় লাগছে। এ ছাড়া সিঙ্গেল জার্নি টিকিট নির্দিষ্ট স্লটে জমা না পাওয়ায় এবং যৌক্তিক কারণে বেশ কিছু টিকিটের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে দ্রুত সিঙ্গেল জার্নি টিকিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে কিউআর কোড চালুর মাধ্যমে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আশা করা যায়, ডিসেম্বর ২০২৪ এর শেষ নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যাত্রীদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে স্টেশনে আসার জন্য সম্মানিত যাত্রীদের বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এদিকে, সংকট মেটাতে ‘একক যাত্রা’র আরও ২০ হাজার কার্ড চলতি ডিসেম্বর মাসেই আসছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। যদিও গত নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো নতুন লটে ২০ হাজার কার্ড স্টেশনগুলোতে যুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে কার্ড সংকটে স্টেশনগুলোতে প্রায়ই বন্ধ থাকে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম)। কোনো কোনো স্টেশনে একক যাত্রার কার্ড না থাকায় শুধু এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাসধারী যাত্রীদের মেট্রোরেলে চড়তে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মেট্রোরেলের সাধারণ যাত্রীরা।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল যখন চালু হয় তখন স্টেশনগুলোতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর ৯ মাস পর গত অক্টোবর মাসে জানানো হয় ২ লাখের বেশি একক যাত্রার কার্ড হারিয়ে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, যাত্রীরা অনেক কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেছেন, আবার কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাওয়া কার্ডগুলো যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে একটি করে বক্সও দেওয়া হয়েছিল।
সবমিলিয়ে অক্টোবর মাসে কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার। যদিও তখন গড়ে প্রতিদিন এক লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছিলেন। ফলে কার্ড সংকট আরও দৃশ্যমান হয়। পরে সংকট মোকাবিলায় ডিএমটিসিএল নতুন করে একক যাত্রার কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। নতুন উদ্যোগে ৪ লাখ নতুন কার্ড অর্ডার করা হয় জাপানে। এর মধ্যে প্রথম ২০ হাজার কার্ড গত নভেম্বর মাসে দেশে আসে।