ঋণ থাকলে কি কোরবানি দেওয়া উচিত?

সুন্নাতে ইবরাহিমি কোরবানির দিনকে ঈদুল আজহা বা ইয়াওমুন নাহর বলা হয়। সারাবিশ্বে মুসলিমনদের কাছে এ দিনটি কোরবানির ঈদের দিন হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।

 

তবে ঋণগ্রস্ত কিন্তু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। ঋণ থাকার কারণে তার কোরবানির হুকুম কী হবে? সেকি কোরবানি দিতে পারবে? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কি?

‘ঋণের পরিমাণ কত? ঋণ পরিশোধ করলে যে সম্পদ থাকবে, তা কি নেসাব পরিমাণ হবে?

 

প্রশ্নের আলোকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তাদের কোরবানির বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে-

 

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কোরবানির সময়ে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ঐ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

 

আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পরও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ঐ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও কোরবানি আবশ্যক।

 

মনে রাখতে হবে, কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে আর তা সাড়ে সাত ভরি/তোলা সোনা ও সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপার সমপরিমাণ অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

 

বর্তমান সময়ে সোনা-রুপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

 

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানো ও ঋণের পরও যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সেলফি নিতে গিয়ে কাজলের পায়ে পাড়া বৃদ্ধের, অতঃপর…

» ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

» আপনার এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম : হাসনাত

» সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না : তারেক রহমান

» ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ

» মাহমুদুল্লাহর অবসর নিয়ে যা বললেন সুজন

» চোখে অস্ত্রোপচার পরবর্তী করণীয়

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ

» লালমনিরহাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত সাগর গ্রেফতার

» হত্যার হুমকি দিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ঋণ থাকলে কি কোরবানি দেওয়া উচিত?

সুন্নাতে ইবরাহিমি কোরবানির দিনকে ঈদুল আজহা বা ইয়াওমুন নাহর বলা হয়। সারাবিশ্বে মুসলিমনদের কাছে এ দিনটি কোরবানির ঈদের দিন হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।

 

তবে ঋণগ্রস্ত কিন্তু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। ঋণ থাকার কারণে তার কোরবানির হুকুম কী হবে? সেকি কোরবানি দিতে পারবে? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কি?

‘ঋণের পরিমাণ কত? ঋণ পরিশোধ করলে যে সম্পদ থাকবে, তা কি নেসাব পরিমাণ হবে?

 

প্রশ্নের আলোকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তাদের কোরবানির বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে-

 

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কোরবানির সময়ে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ঐ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

 

আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পরও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ঐ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও কোরবানি আবশ্যক।

 

মনে রাখতে হবে, কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে আর তা সাড়ে সাত ভরি/তোলা সোনা ও সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপার সমপরিমাণ অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

 

বর্তমান সময়ে সোনা-রুপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

 

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানো ও ঋণের পরও যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com