ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিয়ে লঞ্চগুলো। নতুন করে প্রস্তুত করা হয়েছে পুরনো লঞ্চগুলোকেও। লঞ্চের ফিটনেস, নিরাপত্তা দেখে নেওয়ার পাশাপাশি করা হয়েছে সাজসজ্জার কাজ। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ লঞ্চকেই পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
আগামী মাসের ২ বা ৩ তারিখ হতে পারে ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে এবারও প্রতি বছরের মতো বিপুল মানুষ ঢাকা ছাড়বেন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের বাড়ি ফেরার অন্যতম সঙ্গী লঞ্চ। এরইমধ্যে লঞ্চের কেবিনের ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চগুলোকে একটি পরিপাটি করে নেন মালিকপক্ষ। ফলে অনেকটা ব্যস্ততা থাকে লঞ্চ কর্মীদের। কেউবা ঈদ যাত্রার আগে পুরো লঞ্চকে নতুন করে রঙ করিয়েছে। সবার সব প্রস্তুতি একেবারেই শেষের পথে। অপেক্ষা ঈদযাত্রার।
ঢাকা সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে থাকা লঞ্চগুলোর বেশিরভাগই চকচকে। যদিও এরমধ্যে অনেক লঞ্চই নৌ পথে চলাচল করছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন-১০ লঞ্চটি এখন ঢাকা সদরঘাটে। লঞ্চটির বাইরের অংশে চলছে রং করার কাজ। ভেতরে চেয়ার পেতে বসা লঞ্চের সুপারভাইজার হারুন অব রশিদ। তার কাছে ঈদ প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য কাজ শেষ, রঙের কাজ চলছে।’
ঢাকা-বরিশাল রুটের এডভেঞ্চার-১ লঞ্চের কেরানী মো. রফিক জানান, লঞ্চের ইঞ্চিনসহ সংশ্লিষ্ট সব কিছুর পরীক্ষা, নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ৷ ঈদ যাত্রার জন্য তারা প্রস্তুত। লঞ্চটির ভেতর-বাহির নতুন করে রঙ করে চকচকে করে তোলা হয়েছে।
একই রুটে পারাবত ১৮ লঞ্চের কেরানী মো. তুহিন জানান, ঈদযাত্রার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি তারা আগেই শেষ করেছেন।
ঢাকা – কলাপাড়া, ঘোষের হাট, রাঙাবালি রুটে চলাচলকারী জাহিদ শিপিং লাইনের কেরানী মো. ফারুক জানান, আরও সপ্তাহ খানেক আগেই লঞ্চের সার্বিক প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছেন। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে।
এদিকে লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট এরইমধ্যে শেষ। ২৬ এপ্রিলের কিছু টিকিট এখনও অবশিষ্ট আছে।
ডেকের অগ্রিম টিকিট বিক্রি না হলে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ডেকের ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে ৩৫০ টাকা।