ছবি সংগৃহীত
টানা ১০ মাসেরও বেশি সময় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। এর মধ্যেই ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে নতুন আরেক সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা।
এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস ও ইরান। প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে তারা। এতে করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ দুটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জর্ডান।
দেশটি বলেছে, তারা ইরান কিংবা ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে না। এছাড়া নিজেদের আকাশসীমায় যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুলি করে ধ্বংস করার কথাও ইরান ও ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে জর্ডান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘আমরা ইরান কিংবা ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হব না। আমরা ইরানি এবং ইসরায়েলিদের জানিয়েছি, আমরা কাউকে আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে দিব না।
তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের আকাশসীমার মধ্য দিয়ে যাওয়া বা আমাদের বা আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি বলে মনে হয় এমন যেকোনও কিছুকে আমরা আটকাব।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো হামলা চালায় ইরান। তবে সেই হামলার সময় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অবস্থিত জর্ডান ইরানি অনেক ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয়। দেশটি সেসময় বলেছিল, নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করার কারণে সেগুলোকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই সেই হামলা চালিয়েছিল ইরান। অবশ্য সেই হামলার পর জর্ডান, ইরাক এবং তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হামলা চালানোর আগেই ইরান তার পদক্ষেপের বিষয়ে আগাম সতর্কতা প্রদান করেছে। সূত্র: রয়টার্স