সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় লেওয়োটোবি লাকি-লাকি নামের একটি আগ্নেয়গিরির উদগিরণে সৃষ্ট ছাই ১১ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৫টা ৩৫ মিনিটে ফ্লোরেস দ্বীপের মাউন্ট লেওয়োটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এরপর ছাইগুলো ১১ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগ্নেয়গিরিটির ৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বুধবার দুপুর পর্যন্ত আগ্নেয়গিরির কারণে ই গুস্তি এনগুরাহ রায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লোরেসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ বলেছেন, অগ্ন্যুৎপাতের ৭ কিলোমিটারের মধ্যে কারো অবস্থান করা নিরাপদ নয়। পাশাপাশি লাভার প্রবাহ নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ফেস মাস্ক পরারও অনুরোধ জানান মুহাম্মদ ওয়াফিদ।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানায়, ওই আগ্নেয়গিরিটির পাশের একটি গ্রাম খালি করা হয়েছে। এছাড়া, আগ্নেয়গিরির আওতার বাইরে আরো বেশ কয়েকটি গ্রামে ছাই বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
একজন মুখপাত্র আগ্নেয়গিরির চারপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কারণ সেখানে এখনো কম্পন অনুভূত হচ্ছে। আর কম্পন হওয়ার অর্থ হলো, আগ্নেয়গিরিটির সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত, যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ হয়। এতে করে দেশটিতে ঘনঘন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প হয়।
গত মে মাসেও লেওয়োটোবি লাকি-লাকির আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। সেবারও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ। তার আগে গত নভেম্বরে এই যমজ জ্বালামুখের আগ্নেয়গিরিটিতে একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। এতে করে নয়জন নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে সরে যান।
সূত্র : বিবিসি