ইতালির ইসচিয়া দ্বীপের কাছে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ধসে যাওয়া মাটির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ ভোরের দিকে নেপলসের কাছে উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কাদা এবং ধ্বংসাবশেষের স্রোতে গাছপালা, ভবন ও গাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। বিবিসি বলছে, ইসচিয়া দ্বীপে এক নারীর মৃতদেহ মাটির নিচে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সেখানে আরও কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এই ভূমিধসের কারণে কয়েক ডজন বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং কিছু মানুষ হোটেলে আটকা পড়েছেন। ওই দ্বীপের বাসিন্দা লিসা মোকিয়ারো দেশটির বার্তা সংস্থা আনসাকে বলেছেন, আমরা ভোর ৩টার দিকে বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনতে শুরু করেছিলাম। তারপর প্রথম ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এরপর ভোর ৫টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়ে। এটা ছিল ভয়ঙ্কর।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত জটিল’ এবং নিখোঁজ ব্যক্তিরা মাটির নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ১৫৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পানিয়া, নেপলস এবং ইসচিয়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত আঘাত হানছে। বৃষ্টিপাত এবং শক্তিশালী বাতাস আগামী রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দু’জনের প্রাণহানি ঘটেছে। উপকূলীয় ঝড়ের কবলে পড়ে আর্জেন্টিনার এক পর্যটক সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া অপর এক ব্যক্তি সৈকতে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।