সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গত বছর জুলাইয়ের এই সময়ে আমরা ছাত্র-জনতা আবেগের বশে রাস্তায় নেমে এসেছিলাম। যেই স্বৈরাচার বাংলাদেশের ঘাড়ে বসেছিল, আমরা বুকে গুলি নিয়ে সেই স্বৈরাচারকে দেশ থেকে ভারতে বিতাড়িত করেছি। মাদার অব টেরোরিস্ট হাসিনা মাঝে মাঝে সীমান্তের ওপার থেকে টুপ করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। সীমান্ত কিন্তু জয়পুরহাটের ওপাশে। টুপ করে কি ঢুকে পড়তে পারবে? না। জয়পুরহাটের দিক দিয়ে কি ঢুকে পড়তে পারবে? না।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে জয়পুরহাট জেলা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে পথসভায় এসব কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পঞ্চম দিনে জয়পুরহাট জেলা এনসিপি এ পথসভার আয়োজন করে। এর আগে এদিন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শহরের সিও কলোনী এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন অনেক রাজনৈতিক দল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বলছে- এটা নাকি আবেগের আন্দোলন। আবেগের আন্দোলকে সংবিধানে জায়গা দেওয়ার দরকার নেই। আপনারা কি জুলাইকে সংবিধানে দেখতে চান? হ্যাঁ। আপনাদের সতর্ক করছি, যারা জুলাইয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা বিপ্লবীদের বিপক্ষে অবস্থা নিয়েছে, তারা মূলত আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের ব্যবসাগুলো কারা চালায়? সেগুলো আমরা জানি না? এলাকায় কারা চাঁদাবাজি করে সেগুলো কি আমরা জানি না? জানি। আর এলাকায় চাঁদাবাজি হতে দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসবাদ হতে দেওয়া যাবে না। কোনোভাবে কোনোমত নির্যাতন করা যাবে না। কোনো মন্দির ভাঙা যাবে না। মাদ্রাসা-স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে পাখির মতো রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে- সেই বাংলাদেশ আর ফিরতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। যেই সংবিধান আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে, যেই সংবিধানের দোহায় দিয়ে আমাদের মিড-নাইট ইলেকশন সংগঠিত হয়েছে। যারা এই নির্বাচন করেছে, আপনারা ভুলে যায়েন না এই দিন দিন না, আরও দিন আছে। যারা মধ্যরাতের ইলেকশন করেছে, তাদেরকে জুতার মালা গলায় দিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। সুতরাং ছাত্র-জনতার আবেগকে আপনারা মূল্যায়ন করুন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেক দল এখন এই বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের পাহারাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশের ভিত্তি হবে একাত্তর এবং চব্বিশ। এই দুটোর ভিত্তিতেই আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠিত অবশ্যই করতে হবে, করতে হবে, করতে হবে।
শেষে পথসভায় বক্তব্য দেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের এবারের আন্দোলন নতুন দেশ গঠনের।
পথসভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।