ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করা রোগীরা এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে আর আহাজারি করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে যারা নিপীড়িত হয়েছেন, তাদের কেউ এখনো বিচার পায়নি। দলটির মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা আবার নির্বাচনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। শুক্রবার (২ মে) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাসনিম জারা বলেন, জুলাই-আগস্টের সেই দুঃসহ সময়ের ক্ষত এখনো শুকায়নি। হাসপাতালগুলোতে এখনও আমাদের ভাইয়েরা কাতরাচ্ছে। কেউ চোখের আলো হারিয়েছে, কেউ আর কখনও হাঁটতে পারবে না। এতসব ঘটনার পরও এখন বলা হচ্ছে, সেই দল নির্বাচনে যাবে। এটা কি কোনো দেশের সঙ্গে, কোনো জাতির সঙ্গে উপহাস নয়? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে যারা নিপীড়িত হয়েছেন, তাদের কেউ এখনো বিচার পায়নি। দলটির মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা আবার নির্বাচনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আমাদের প্রশ্ন—আর কত মানুষকে গুম-খুন করলে, কতজন পঙ্গু হলে একটা দলের নিবন্ধন বাতিল হবে? আর কত দমন-পীড়নের পর সেই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?
হুঁশিয়ার করে ডা. তাসনিম জারা আরও বলেন, আমরা হাল ছাড়ছি না। আওয়ামী লীগের বিচার বাংলাদেশেই হতে হবে। শুধু দল নয়—ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর যেসব নেতা এসব অপরাধে জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এনসিপি নেত্রী বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি, গত ১৬ বছরের গুম-খুন আর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেসবের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ফিরতে পারবে না। এই দেশে তাদের রাজনীতি হবে না—হবে না, হবে না, হবে না।
প্রসঙ্গত, এদিনের বিক্ষোভে এনসিপির অন্য নেতারাও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দেন। তারা দলটির নিবন্ধন বাতিল, বিচার নিশ্চিত করা এবং আগামী নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী রাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানান।