আরও সহজ হচ্ছে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : মেট্রোরেলের যাত্রীদের টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার (পাঞ্চ) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া যাবে। নতুন এ ব্যবস্থার নাম ইউনিভার্সেল টিকেটিং সিস্টেম (ইউটিএস)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চালু করতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। অবশ্য বর্তমানে চালু থাকা র‍্যাপিড ও এমআরটি পাস এবং একক যাত্রার কার্ডও কার্যকর থাকবে।

 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন টিকিট–ব্যবস্থা ইউটিএস চালুর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হবে।

নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

 

ঠিকাদার নিয়োগ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাহককে এ সেবা দিতে ছয় মাস লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ব্যবস্থাটি চালু করতে ডিএমটিসিএল বিনিয়োগ করবে না। যন্ত্রপাতি বসানো, সফটওয়্যার স্থাপন ও লেনদেন সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টিকিট বেচার অর্থ থেকে একটা অংশ ঠিকাদারকে দেওয়া হবে। তা কত হবে এখনো ঠিক হয়নি। ঠিকাদারদের কাছ থেকে পাওয়া দরপ্রস্তাবের ওপর এটি নির্ভর করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সেটি ‘ক্লোজ লুপ’। এটি শুধু জাপানের সনি কোম্পানির কার্ড পড়তে (রিডিং) পারে। ফলে ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড বা অন্য ব্যবস্থা কাজ করে না। নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

 

বর্তমানে একক যাত্রার কার্ড স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনার পর পাঞ্চ করে ট্রেনে উঠতে হয়। যাত্রা শেষে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একক যাত্রার কার্ড কিনতে পারবেন। বিকাশ, রকেটসহ মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন পণ্য কেনা হয়, সেভাবে টিকিট কেনা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ভ্রমণের টাকা পরিশোধ করলে গ্রাহক একটা কিউআর কোড তার মোবাইল ফোনে পাবেন। সেটি স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যন্ত্রে ধরতে (স্ক্যান) হবে। সূএ : ঢাকা মেইল ডটকম

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফ্যাসিবাদের জায়গা আর বাংলাদেশে হবে না : এ্যানি

» সংবাদ সম্মেলন ডেকে আবার পিছিয়ে দিলেন ইশরাক

» পরমাণু কার্যক্রম ফের স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় ইরান

» মায়ের জানাজায় অংশ নিতে ২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি

» শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম হোসেন ডলার গ্রেফতার

» বিপুল পরিমাণ সীম কার্ডসহ হ্যাকার চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

» আরও সহজ হচ্ছে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ

» একনেকে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

» সাদা বাথরোবে, কফি কাপ হাতে কে এই অভিনেত্রী

» চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টান-অকথ্য গালাগালি, ভিডিও ভাইরাল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আরও সহজ হচ্ছে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : মেট্রোরেলের যাত্রীদের টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার (পাঞ্চ) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া যাবে। নতুন এ ব্যবস্থার নাম ইউনিভার্সেল টিকেটিং সিস্টেম (ইউটিএস)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চালু করতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। অবশ্য বর্তমানে চালু থাকা র‍্যাপিড ও এমআরটি পাস এবং একক যাত্রার কার্ডও কার্যকর থাকবে।

 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন টিকিট–ব্যবস্থা ইউটিএস চালুর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হবে।

নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

 

ঠিকাদার নিয়োগ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাহককে এ সেবা দিতে ছয় মাস লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ব্যবস্থাটি চালু করতে ডিএমটিসিএল বিনিয়োগ করবে না। যন্ত্রপাতি বসানো, সফটওয়্যার স্থাপন ও লেনদেন সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টিকিট বেচার অর্থ থেকে একটা অংশ ঠিকাদারকে দেওয়া হবে। তা কত হবে এখনো ঠিক হয়নি। ঠিকাদারদের কাছ থেকে পাওয়া দরপ্রস্তাবের ওপর এটি নির্ভর করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সেটি ‘ক্লোজ লুপ’। এটি শুধু জাপানের সনি কোম্পানির কার্ড পড়তে (রিডিং) পারে। ফলে ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড বা অন্য ব্যবস্থা কাজ করে না। নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

 

বর্তমানে একক যাত্রার কার্ড স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনার পর পাঞ্চ করে ট্রেনে উঠতে হয়। যাত্রা শেষে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একক যাত্রার কার্ড কিনতে পারবেন। বিকাশ, রকেটসহ মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন পণ্য কেনা হয়, সেভাবে টিকিট কেনা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ভ্রমণের টাকা পরিশোধ করলে গ্রাহক একটা কিউআর কোড তার মোবাইল ফোনে পাবেন। সেটি স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যন্ত্রে ধরতে (স্ক্যান) হবে। সূএ : ঢাকা মেইল ডটকম

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com