ছবি সংগৃহীত
আরব আমিরাতে আগামীকাল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়া ও জেল-জরিমানা ছাড়া দেশে ফেরার সুযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। সাধারণ ক্ষমার আওতায় অন্যান্যদের মতো এই সুযোগ নিতে পারবেন দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। ভিজিট ভিসায় দেশটিতে যাওয়া প্রবাসীরাও পাবেন বৈধ হবার সুযোগ।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানান, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম। এতে করে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অনিয়মিত, কাগজপত্র বিহীন ও অবৈধভাবে বসবাসকারীরা বৈধ হওয়া ও জরিমানা ছাড়া দেশে ফিরতে পারবেন। সাধারণ ক্ষমা চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় বৈধ পাসপোর্টের। স্থানীয় ইমিগ্রেশনের কাছে জমা থাকা বাংলাদেশিদের প্রায় ১ হাজার ৩’শ পাসপোর্ট ইতোমধ্যে কনস্যুলেটের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানান তারা।
এ ছাড়া পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজে নিজেদের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানায় কনস্যুলেট। আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি কর্মক্ষমতা বেড়েছে পাসপোর্ট উইংয়ে। কেবল ২০২৩ সালে এমআরপি ও ই -পাসপোর্ট মিলে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৯টি।
এদিকে দুই মাসব্যাপী এই সেবা গ্রহণের জন্য দুবাইয়ের ভিসাধারীদের আমিরাতে প্রত্যেক প্রদেশের সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। এরপর ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশটির সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল বা আমের সেন্টারে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, এই দেশে তা’মিম বা নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন করা কর্মীরা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগতে পারবেন। এ ছাড়া দেশটিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিরাও প্রমানিক কাগজপত্র ও তথ্যপ্রদানপূর্বক কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে বসবাসকারীরা দেশে ফেরার ক্ষেত্রে এক্সিট পারমিট পাওয়ার জন্য মূল পাসপোর্ট বা কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল পারমিট নিতে হবে। পারমিট পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে ও সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠানের মালিকদে অনুরোধ করে শ্রম কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বলেন, বৈধতার আবেদনকারীরা পাবেন ছয় মাস মেয়াদী চাকরি সন্ধানী ভিসা। এই ভিসার বিপরীতে প্রার্থীকে নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান ঠিক করে বৈধ হতে হবে। তাই চাকরি প্রত্যাশীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই সুযোগ কাজে লাগাতে শ্রমিক সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন