সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, যারা গত ১৫-১৬ বছর ধরে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে আসছে, আজ তাদেরই কেউ কেউ “বিদেশি এজেন্ট” বলে আখ্যায়িত করছেন।
তিনি বলেন, “আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি, যারা মানুষের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য লড়েছি, আজ আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আজ দেশে আইনের শাসন হুমকির মুখে। আদালতের রায় কার্যকর হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রপন্থী সব শক্তির ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে, যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সংবিধান, এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো চাই, যেখানে কোনো স্বৈরাচার আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।” সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “বিগত ১৫-১৬ বছরে প্রতিবছর ২ লাখ কোটি টাকা করে মোট প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। ব্যাংক খাতে ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হতো।
তিনি আরও দাবি করেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন শ্বেতপত্র কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এই দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সালাহউদ্দিন বলেন, “মেগা প্রকল্পের নামে ২ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রবিরোধী। তারা কখনো রক্ষীবাহিনী, কখনো ছাত্রলীগ-যুবলীগ, কখনো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। “আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি,” বলেন তিনি। সংসদীয় ব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের সব গণতন্ত্রকামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “আমাদের একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু হলো শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। এই স্বৈরাচারী শক্তিকে প্রতিহত করাই এখন সময়ের দাবি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও নতুন করে দেশে প্রবেশের পাঁয়তারা করছে। আমাদের মধ্যে সচেতনতা ও বিবেক জাগ্রত করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্রের পুনর্জন্ম না হয়।”