সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ বেশি শক্তিশালী, উদ্যোমী এবং সৃজনশীল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক তুলে দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি অভিভূত ও বাকরুদ্ধ। জাতির কৃতি সন্তানদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা সবাই আনন্দে আপ্লুত। নারী ফুটবল দল আমাদের জাতিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের অভিলাষী স্মারক। ১৯৫২ সালের এ মাসে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রসমাজ। ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এ ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, উদ্যোমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেন, ঘুণে ধরা আত্মবিনাসী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তরুণরা নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সেই সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সব সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। এছাড়া, মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়।