ছবি সংগৃহীত
যে কোনো আন্দোলন-বিক্ষোভে পুলিশের শটগানের মত নিষ্ঠুর অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
রিজভী বলেন, যারা সরকারের মধ্যে থেকে মাসুম বাচ্চাদের হত্যা করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে মদত দিয়েছে তাদেরও দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে সংগঠনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে কোনো আন্দোলন বা বিক্ষোভে পুলিশের শটগানের মত নিষ্ঠুর অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে, এটিও এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব। কারণ, শিশু-কিশোরদের রক্তে রঞ্জিত পথে আজকের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক হিসেবে সরকারকে কাজ করতে হবে। জন আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই কাজ করতে হবে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কেরা বিভিন্ন অর্জন রেখে যান, আর আমরা শেখ হাসিনার অর্জন দেখলাম হাসপাতালে মাসুম বাচ্চারা কাতরাচ্ছে। ঢাকা মহানগরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শর্টগানের গুলিতে আহত অনেক শিশু-কিশোর-তরুণ এখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই যে বিভীষিকা, এটিই শেখ হাসিনা সরকারের অবদান।
শেখ হাসিনার সরকার দেশকে স্তব্ধ করতে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে প্রতিবাদী উচ্চারণ স্তব্ধ করে দিতে পুলিশকে অস্ত্রসজ্জিত করে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, এবারের আন্দোলন ছিল অভূতপূর্ব। এ আন্দোলনে আলো পিয়াসী শিশু-কিশোররা তাদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। পায়ে গুলি খাচ্ছে, কিন্তু দুহাত প্রসারিত করে তারা সেই গুলিকে আমন্ত্রণ করেছে। এমন অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত আমরা রংপুরে আবু সাঈদের ক্ষেত্রে দেখেছি। ঢাকার রাজপথে ও অলিগলিতে পুলিশ গুলি করে কতজনকে যে হত্যা করেছে তার কোনো শেষ নেই।
তিনি বলেন, এই ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী সরকার পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করেছিল গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা রক্তের স্রোতধারা বইয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে।
তিনি আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।