আন্দোলনকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল: রমনা ডিসি

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুযেট) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল, সেজন্য পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

 

আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শাহবাগে ব্লক করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল উল্লেখ করে রমনা ডিসি বলেন, শাহবাগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, তারপরও কিছু বলা হয়নি। তাদেরকে আমরা কখনও বলিনি, ‘ভাই, এখান থেকে চলে যাও।’ যদিও মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হচ্ছিল।

 

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ও পজিটিভ ছিল। এরইমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে গেছে, যেটা তারা চাচ্ছিল। ওদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারা বলেছিল, ‘স্যার, এখানে সর্বোচ্চ আমরা আধা ঘণ্টা থাকবো। যদি এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে আমরা কিন্তু সচিবালয় চলে যাবো।’ তাদেরকে বলা হয়েছিল—আধা ঘণ্টাই থাকো।

 

সংঘর্ষের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রমনা ডিসি বলেন, এর মধ্যে হঠাৎ তারা যমুনার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের ব্লকের দিকে দৌড়ে চলে আসে। তাদের সঙ্গে পুলিশও পিছনে পিছনে দৌড়ে আসে। তারা ব্লক ভেঙেছে। ভাঙার পরে তারা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন পর্যন্ত চলে যায়। এরপরও কিছু ফোর্স সেখানে জড়ো হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে। শান্তিপূর্ণভাবে তাদেরকে আস্তে ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল, দাবি করেন রমনা ডিসি। পরে এইভাবে কাজ হয়নি। সেজন্য জলকামান মেরে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তারা প্রচুর ইট মেরেছে। তাদের কাছে `হেক্সা ধরনের চাকু’ ছিল, যার কারণে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমি সামনে ছিলাম, তারা ইচ্ছামত মেরেছে। তবে ওদেরও আহত হতে পারে। সেখানে তাদের অনেকেই পিছন থেকে ঢিল মারছিল। অনেকেই মাঝখানে এসে সমাধান করার চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্য থেকেও আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দিকে চলে গেছে। হাসপাতালে গেছে কেউ, অনেকে হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চলে গেছে।

 

নিরাপত্তা বিষয়ে রমনা ডিসি বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে পুলিশের তো আর করার কিছু থাকে না। তাহলে চাকরি-বাকরি আর করার দরকার নেই। ওই রাষ্ট্র কিংবা সরকার বলবে, ‘ভাই, তোমরা চলে আসো। এই নিরাপত্তা যদি দিতে না পারো, তাহলে তোমাদের চাকরি করার দরকার নেই।’

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ড. ইউনূস এ দেশের মানুষকে চেনেন না: মাসুদ কামাল

» বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস কোথায় পায় প্রশাসন- প্রশ্ন সারজিসের

» শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে বলপ্রয়োগে ক্ষুব্ধ হাসনাত

» মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের সত্য কথাগুলো বলতে শুরু করলাম: ফজলুর রহমান

» ‘জুলাই সনদ ও সংস্কার হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এনসিপি’: নাহিদ ইসলাম

» বনজ কুমারের মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস

» আমাদের সময় বেশি দিন নাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিপীড়ন ও নৃশংসতার প্রতিবাদে জেগে উঠেছিল শিক্ষার্থী-জনতা: মাহফুজ আলম

» ডিএমপির ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম

» আন্দোলনকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল: রমনা ডিসি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আন্দোলনকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল: রমনা ডিসি

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুযেট) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল, সেজন্য পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

 

আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শাহবাগে ব্লক করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল উল্লেখ করে রমনা ডিসি বলেন, শাহবাগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, তারপরও কিছু বলা হয়নি। তাদেরকে আমরা কখনও বলিনি, ‘ভাই, এখান থেকে চলে যাও।’ যদিও মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হচ্ছিল।

 

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ও পজিটিভ ছিল। এরইমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে গেছে, যেটা তারা চাচ্ছিল। ওদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারা বলেছিল, ‘স্যার, এখানে সর্বোচ্চ আমরা আধা ঘণ্টা থাকবো। যদি এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে আমরা কিন্তু সচিবালয় চলে যাবো।’ তাদেরকে বলা হয়েছিল—আধা ঘণ্টাই থাকো।

 

সংঘর্ষের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রমনা ডিসি বলেন, এর মধ্যে হঠাৎ তারা যমুনার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের ব্লকের দিকে দৌড়ে চলে আসে। তাদের সঙ্গে পুলিশও পিছনে পিছনে দৌড়ে আসে। তারা ব্লক ভেঙেছে। ভাঙার পরে তারা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন পর্যন্ত চলে যায়। এরপরও কিছু ফোর্স সেখানে জড়ো হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে। শান্তিপূর্ণভাবে তাদেরকে আস্তে ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল, দাবি করেন রমনা ডিসি। পরে এইভাবে কাজ হয়নি। সেজন্য জলকামান মেরে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তারা প্রচুর ইট মেরেছে। তাদের কাছে `হেক্সা ধরনের চাকু’ ছিল, যার কারণে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমি সামনে ছিলাম, তারা ইচ্ছামত মেরেছে। তবে ওদেরও আহত হতে পারে। সেখানে তাদের অনেকেই পিছন থেকে ঢিল মারছিল। অনেকেই মাঝখানে এসে সমাধান করার চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্য থেকেও আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দিকে চলে গেছে। হাসপাতালে গেছে কেউ, অনেকে হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চলে গেছে।

 

নিরাপত্তা বিষয়ে রমনা ডিসি বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে পুলিশের তো আর করার কিছু থাকে না। তাহলে চাকরি-বাকরি আর করার দরকার নেই। ওই রাষ্ট্র কিংবা সরকার বলবে, ‘ভাই, তোমরা চলে আসো। এই নিরাপত্তা যদি দিতে না পারো, তাহলে তোমাদের চাকরি করার দরকার নেই।’

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com