আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে খুলনার শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে অভিযোগ

ছবি সংগৃহীত

 

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় নিহত আব্দুল হামিদের মা রাশিদা বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনার নির্দেশে ও তার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের তত্ত্বাবধায়নে খুলনা থেকে ঢাকায় গিয়ে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করে।

 

অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার এনামুর রহমান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত পাপ্পু, সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-১৯ সাভার তালুকদার মো. তৌহিদ মুরাদ, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আব্দুল হালিম, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক  মনজুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-২০ সাভার বেনজীর আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

 

খুলনার আসামিরা হলেন- খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক শেখ সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মাকসুদ আলম খাজা, খানহাজান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবিদ হোসেন, শেখ সোহেলের ক্যাশিয়ার মো. মফিজুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য বাগেরহাট-২ শেখ সারহান নাছের তন্ময়, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ, খুলনা-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই ও এপিএস মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মুন্সি আব্দুর রশিদ, সেলিম রেজা প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মো. হামিদ শেখ ১৬ জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপার হামলার প্রতিবাদে ১৭ জুলাই থেকে রাজপথে নেমে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পূর্ব আশুলিয়া থানার সামনের রাস্তায় ছাত্র জনতা মিছিল করে। উল্লিখিত আসামিদের পরিকল্পনা এবং সরাসরি নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে উল্লিখিত আসামিসহ আওয়ামী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগের কয়েক হাজার কর্মী সরাসরি গুলি বর্ষণ করে। আসামিদের ছোড়া শুলিতে হামিদ শেখের মাথা ও বুক গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাকে আসামিরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল গ্রেফতার

» ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের দাবি যৌক্তিক, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

» অবশেষে গ্রেফতার দেখানো হলো পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন কে

» ভারতে পালানোর সময় নারীসহ তিনজন আটক

» রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল, আবেদন শুরু ৫ জানুয়ারি

» চালের দাম কবে কমবে, জানালেন উপদেষ্টা আলী ইমাম

» মারা গেছেন মাথায় গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ

» বিপিএলে খেলা অনিশ্চিত সাকিবের, বিকল্প ভেবে রেখেছে চট্টগ্রাম

» ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশেষ ‍দূত নিয়োগ করছেন ট্রাম্প

» বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন করবে

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে খুলনার শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে অভিযোগ

ছবি সংগৃহীত

 

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় নিহত আব্দুল হামিদের মা রাশিদা বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনার নির্দেশে ও তার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের তত্ত্বাবধায়নে খুলনা থেকে ঢাকায় গিয়ে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করে।

 

অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার এনামুর রহমান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত পাপ্পু, সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-১৯ সাভার তালুকদার মো. তৌহিদ মুরাদ, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আব্দুল হালিম, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক  মনজুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-২০ সাভার বেনজীর আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

 

খুলনার আসামিরা হলেন- খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক শেখ সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মাকসুদ আলম খাজা, খানহাজান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবিদ হোসেন, শেখ সোহেলের ক্যাশিয়ার মো. মফিজুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য বাগেরহাট-২ শেখ সারহান নাছের তন্ময়, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ, খুলনা-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই ও এপিএস মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মুন্সি আব্দুর রশিদ, সেলিম রেজা প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মো. হামিদ শেখ ১৬ জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপার হামলার প্রতিবাদে ১৭ জুলাই থেকে রাজপথে নেমে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পূর্ব আশুলিয়া থানার সামনের রাস্তায় ছাত্র জনতা মিছিল করে। উল্লিখিত আসামিদের পরিকল্পনা এবং সরাসরি নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে উল্লিখিত আসামিসহ আওয়ামী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগের কয়েক হাজার কর্মী সরাসরি গুলি বর্ষণ করে। আসামিদের ছোড়া শুলিতে হামিদ শেখের মাথা ও বুক গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাকে আসামিরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com