ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : নাগরিকদের সংরক্ষিত এনআইডির তথ্য ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে ‘যাচাই সেবা’ সাময়িক বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (০৭ মে) ইসির এনআইডি উইং মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে। দুটি জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে এটি বন্ধ করে দিয়েছি। এরইমধ্যে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান ডিজি।
এনআইডির উইং মহাপরিচালক বলেন, আমরা গতকাল জানতে পারি-ডেটা নিরাপত্তার স্বার্থে দৈনন্দিন যে চেকিং থাকে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছি, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করি। গতকাল আমাদের কাছে তথ্য আসে, মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তখন আমরা একটু কনসার্ন হই, যারা মনিটরিংয়ে ছিলেন তারা আরো ভালোভাবে চেক করেন।
এ কর্মকর্তা জানান, যে লিঙ্ক থেকে ডেটা লিক হচ্ছিল জানতে পারেন সংক্রান্ত লিঙ্কে ক্লিক করলে এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে।
তবে ডেটা লিক যে কোনোভাবেই বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রথম থেকেই কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি এরকম- এ ডেটা আপনাদের, আমাদের, সবার। আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। নিরাপদ রাখার স্বার্থে যখন আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছি-এ দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে, তখন আমরা সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। ইতোমধ্যে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিজি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বলেছি- এটার ব্যাপারে আমাদের যে নিয়ম-কানুন রয়েছে, প্রোটেকশন মেজারস নিতে বলি, সেগুলো নিশ্চিত করবেন। যারা জড়িত বলে আপনাদের কাছে প্রতীয়মান হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন। পরে চুক্তি অনুযায়ী যা করার করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যেকোনো মূল্যে দেশের নাগরিকের তথ্য যা ইসিতে সংরক্ষিত তা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাই সেবা নিতে ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। এবার আরও দুটি প্রতিষ্ঠানেও তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেল।