সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলি। যখনই শীত আসে তখনি পিঠা-পুলি, পায়েস কিংবা নাড়ুর কথা আমাদের মনে ভেসে ওঠে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নগরায়নের ফলে এই পিঠা উৎসব বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে বণার্ঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজান কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্টলগুলোতে পুলি পিঠা, চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, গোলাপ পিঠা, ঝাল পিঠা, পদ্ম সেমাইসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠাপুলির আয়োজন ছিল।
সকাল ১০ টায় ফিতা কেটে পিঠা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও নার্সিংসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম প্রমূখ।
পিঠা উৎসবে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীন পিঠা-পুলির পাশাপাশি ভারত, নেপাল, ভুটানসহ কয়েকটি দেশের পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে। অতিথিরা প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং পিঠার স্বাদ উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।
আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও নার্সিংসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ গ্রামের পিঠা-পুলির আমেজকে ফুটিয়ে তুলতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি-স্বাদ নিতে পারছি।
আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান বলেন, পিঠা উৎসব পিঠা উৎসব আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে তা খুব একটা দেখা মেলে না। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলি সম্পর্কে জানতে পারে। একইসাথে তাদের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।
পিঠা উৎসবে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।