ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ‘জিয়া উদ্যানে’র নাম পরিবর্তন করেছিলো আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এটিকে চন্দ্রিমা উদ্যান হিসেবে নাম দেয়। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর আবারও আগের নামে ফিরলো এই উদ্যান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে চন্দ্রিমা উদ্যান পরিবর্তন করে এটি জিয়া উদ্যান হিসেবে নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ১২.৩ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় অবস্থিত ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ এর পরিবর্তীত নামকরণ ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হলো।
গত ১১ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি হলেও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনেকে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার দিচ্ছেন।
প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানের নামের বদলে ‘জিয়া উদ্যান’ নাম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এটির নাম চন্দ্রিমা উদ্যান করেছিলেন। পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করার পর বিএনপির আমলে এটি জিয়া উদ্যান নামকরণ করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটির নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যান করে। যদিও সর্বস্তরের মানুষের মুখে এবং মনে এই জায়গাটি জিয়া উদ্যান হিসেবেই পরিচিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাম পুনর্বহাল করার মধ্য দিয়ে মানুষের এই আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান জানিয়েছে। সরকারকে ধন্যবাদ।
রাজধানী ঢাকার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান জিয়া উদ্যান। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশে ৭৪ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে এ উদ্যানটি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র করে এখানে মাজার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যান ও মাজার জিয়ারত করেন।