আকর্ষণীয় চোখ

ছবি সংগৃহীত

 

কাকে বলে সুন্দর চোখ? এর জবাব পাওয়ার আগে খানিকটা জেনে নেওয়া দরকার। নন্দনতত্ত্ব বলছে, আমাদের মন এবং চোখকে যা পুলকিত করে তাই সুন্দর। আমরা তখন আমাদের ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করি। প্রশ্ন হলো, সুখের এই অনুভব আসে কোত্থেকে? তাত্ত্বিকদের মতে, সৌন্দর্য হচ্ছে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত অংশগুলোর সুশৃঙ্খল বিন্যাস এবং সমগ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক। যা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সমানুপাতিক। আর তাই আমাদের চিত্তে জাগায় সমতা ও বৈচিত্র্যের বোধ।

 

চোখের বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভারসাম্য থেকে এই সমতা সৃষ্টি হয়েছে। চোখের অভ্যন্তরের অংশ, যেগুলো আমরা দেখতে পাই। সেসবের সমন্বিত প্রকাশও জরুরি। দুই ধাপে এই সৌন্দর্য দৃষ্টিগ্রাহ্য। প্রথমত জন্মগত বা প্রাকৃতিকভাবে এবং দ্বিতীয়ত সেই চোখে প্রযুক্ত সৌন্দর্য উপকরণ যা ব্যহারের পর চোখের মৌলিক সৌন্দর্য থেকে একটি অন্যতর লুকের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয় ধাপটি বিবেচ্য।

 

অর্থাৎ প্রকৃতিপ্রদত্ত চোখের শেপ ও বৈশিষ্ট্যের সৌন্দর্য সৃষ্টির কাজটি চলে, তেমনি তাতে পরিবর্তনের প্রয়াস করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, চোখ ছোট হলে সেটি বড় করা, আইব্রাও পাতলা হলে তা ঘন করা।

 

কালের বিবর্তনে সুন্দরের ধারণা বদলায়। বদলে যাওয়া এ ধারণা দৃশ্যমান হলে তাকে আমরা ট্রেন্ড বলি। চোখের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। চোখের সাজে বিউটিশিয়ানদের যোজন-বিয়োজনে চোখ হয়ে ওঠে সমকালীন এবং ট্রেন্ডি। তারপরও সুন্দর চোখের কিছু চিরন্তন বিষয় আছে। মোটামুটি এ বিষয়গুলো পূরণ হলে যে কারও চোখজোড়াকে আমরা সুন্দর বলে দাবি করতে পারি।

* দুচোখের মধ্যকার দূরত্ব হতে হবে একটি চোখের সমান। অর্থাৎ নাকের উপরের অংশ এবং এর দুপাশের জায়গা মিলিয়ে যেন একটি চোখের পরিসর থাকে।

* আমন্ড শেপ;

* দীর্ঘ ও ঘণ আঁখিপল্লব;

* আইব্রাওর শুরু হতে হবে সেখানে, চোখ যেখানে শেষ হয়েছে।

* মণির আকৃতি চোখের সাইজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া চাই;

* মুখমন্ডলের আকৃতি ও ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই;

* ফেসিয়াল ফিচারের অন্যান্য অংশের তুলনায় চোখের লুক সহজ ও প্রীতিকরভাবে দৃষ্টিগ্রাহ্য হতে হবে।

* অভিব্যক্তিতে অপাপবিদ্ধতার প্রকাশ থাকতে হবে; ইত্যাদি।

সৌন্দর্য জগতে এসব শর্তের কথা উল্লেখ থাকলেও একটি জনসমাজে চোখের আকার আকৃতির সঙ্গে যে জিনিসটি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে, তা হলো এর একটি সহজ ভাষা এবং আবেদন। কেননা এটি বলে দেয় আপনি কতটা মনোযোগী। আবার মনোযোগের ভান ধরলেও তা চোখের ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যাবে সহজেই। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল প্যানেল

» কর্মীদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ানের সাথে ব্যাংক এশিয়ার পার্টনারশিপ

» দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

» সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

» উদ্ভাবনী আইটি সেবা নিয়ে টেক্সটেকে অংশ নিচ্ছে এক্সেনটেক

» চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে সর্বদলীয় বিক্ষোভ, বুধ-বৃহ্স্পতিবার হরতালের ডাক

» জামালপুরে মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

» দেশের সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

» উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে ডাকসু নির্বাচন : ডিসি মাসুদ

» ভোট কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে ছাত্রদল: শিবির সেক্রেটারি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আকর্ষণীয় চোখ

ছবি সংগৃহীত

 

কাকে বলে সুন্দর চোখ? এর জবাব পাওয়ার আগে খানিকটা জেনে নেওয়া দরকার। নন্দনতত্ত্ব বলছে, আমাদের মন এবং চোখকে যা পুলকিত করে তাই সুন্দর। আমরা তখন আমাদের ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করি। প্রশ্ন হলো, সুখের এই অনুভব আসে কোত্থেকে? তাত্ত্বিকদের মতে, সৌন্দর্য হচ্ছে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত অংশগুলোর সুশৃঙ্খল বিন্যাস এবং সমগ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক। যা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সমানুপাতিক। আর তাই আমাদের চিত্তে জাগায় সমতা ও বৈচিত্র্যের বোধ।

 

চোখের বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভারসাম্য থেকে এই সমতা সৃষ্টি হয়েছে। চোখের অভ্যন্তরের অংশ, যেগুলো আমরা দেখতে পাই। সেসবের সমন্বিত প্রকাশও জরুরি। দুই ধাপে এই সৌন্দর্য দৃষ্টিগ্রাহ্য। প্রথমত জন্মগত বা প্রাকৃতিকভাবে এবং দ্বিতীয়ত সেই চোখে প্রযুক্ত সৌন্দর্য উপকরণ যা ব্যহারের পর চোখের মৌলিক সৌন্দর্য থেকে একটি অন্যতর লুকের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয় ধাপটি বিবেচ্য।

 

অর্থাৎ প্রকৃতিপ্রদত্ত চোখের শেপ ও বৈশিষ্ট্যের সৌন্দর্য সৃষ্টির কাজটি চলে, তেমনি তাতে পরিবর্তনের প্রয়াস করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, চোখ ছোট হলে সেটি বড় করা, আইব্রাও পাতলা হলে তা ঘন করা।

 

কালের বিবর্তনে সুন্দরের ধারণা বদলায়। বদলে যাওয়া এ ধারণা দৃশ্যমান হলে তাকে আমরা ট্রেন্ড বলি। চোখের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। চোখের সাজে বিউটিশিয়ানদের যোজন-বিয়োজনে চোখ হয়ে ওঠে সমকালীন এবং ট্রেন্ডি। তারপরও সুন্দর চোখের কিছু চিরন্তন বিষয় আছে। মোটামুটি এ বিষয়গুলো পূরণ হলে যে কারও চোখজোড়াকে আমরা সুন্দর বলে দাবি করতে পারি।

* দুচোখের মধ্যকার দূরত্ব হতে হবে একটি চোখের সমান। অর্থাৎ নাকের উপরের অংশ এবং এর দুপাশের জায়গা মিলিয়ে যেন একটি চোখের পরিসর থাকে।

* আমন্ড শেপ;

* দীর্ঘ ও ঘণ আঁখিপল্লব;

* আইব্রাওর শুরু হতে হবে সেখানে, চোখ যেখানে শেষ হয়েছে।

* মণির আকৃতি চোখের সাইজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া চাই;

* মুখমন্ডলের আকৃতি ও ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই;

* ফেসিয়াল ফিচারের অন্যান্য অংশের তুলনায় চোখের লুক সহজ ও প্রীতিকরভাবে দৃষ্টিগ্রাহ্য হতে হবে।

* অভিব্যক্তিতে অপাপবিদ্ধতার প্রকাশ থাকতে হবে; ইত্যাদি।

সৌন্দর্য জগতে এসব শর্তের কথা উল্লেখ থাকলেও একটি জনসমাজে চোখের আকার আকৃতির সঙ্গে যে জিনিসটি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে, তা হলো এর একটি সহজ ভাষা এবং আবেদন। কেননা এটি বলে দেয় আপনি কতটা মনোযোগী। আবার মনোযোগের ভান ধরলেও তা চোখের ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যাবে সহজেই। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com