ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মাটি থেকে মুজিববাদ নামক ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের যে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা উৎখাত করেছিল। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখছি, এতদিন হয়ে যাওয়ার পরেও সেই আওয়ামী লীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের লোকেরা বাংলাদেশের মাটিতে এখনো মিছিল করার সাহস পায়।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে তেমন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার এবং আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রমকে দৃশ্যমান করার। আমরা ৫ আগস্টের পর থেকে বলে আসছি, আওয়ামী লীগ কোনোভাবে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার নৈতিক কোনো অধিকার রাখে না এবং তার আইনি বন্দোবস্তও করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিজম কায়েম করেছে। বাংলাদেশে কয়েকটি গণহত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত। বিরোধী রাজনীতির লোকেরা গুম-খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে। এই সবকিছুর বিচারের জন্যই কিন্তু গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে আমরা দলগতভাবে বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। সেটিও আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়নি। ফলে আমরা আবারও রাজপথে নামছি। আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের যত অঙ্গসংগঠন আছে সেগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
‘অলরেডি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুবলীগসহ অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিচার চলাকালীন দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা দলে দলে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করুন এবং গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে দেখা হবে বিক্ষোভ সমাবেশে।