ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপোর্ট : গত একমাসে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য ৫টি দলের নামে আবেদন করেছে। ইসির গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চলাতি মাসের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লিগ, আমজনতার দল, নতুন বাংলা, সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির নামে চিঠি এসেছে ইসিতে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনে আগ্রহীদের আবেদন আহ্বান করলেও তেমন সাড়া নেই। এক মাস পার হলেও মাত্র পাঁচটি দল আবেদন করেছে। আবেদনের সময় রয়েছে মাত্রা ৮ দিন। তবে নিবন্ধন আবেদন ইসির কাছ থেকে অতিরিক্ত সময় চাইবে এনসিপি।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। আলোচনায় থাকা নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এখনও আবেদন করেনি। দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন আবেদনের সময় বাড়াতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি।
এইরমধ্যে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রে দল নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপরই মূলত ভাটা পড়ে নিবন্ধন আগ্রহীদের। গণবিজ্ঞপ্তি জারির দু’সপ্তাহের মাথায় ২৫ মার্চ ‘আওয়ামী লিগ’ নামে একটি দলের নিবন্ধন আবেদন প্রথম পান বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ।
আমজনতার দল, নতুন বাংলা, সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি- এ চারটি দল আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে। হাতে গোনা কয়েকটি দল আবেদন ডেসপাসে জমা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা পৌঁছায়নি।
ইসি সচিবালয়ের নিবন্ধন আবেদন দেখভালের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী সহায়তা ও সমন্বয় শাখার কর্মকর্তারা জানান, একটি দলের আবেদন রয়েছে, ডেসপাসে দু’য়েকটা আসতে পারে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও তাদের কাছে আসেনি।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ৯৮টি আবেদন পড়েছিল। এ পর্যন্ত ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয় চার সংসদ নির্বাচনে। বাতিল হওয়া ৫টি বাদে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে ৫০টি দল।
সংসদ নির্বাচনে ভোটে অংশ নিতে ২০০৭-২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর নতুন ও পুরনো দলগুলো বেশ আড়ম্বর করেই আবেদন করে আসছে।