ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তারা গাজা উপত্যকায় অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ‘সন্দেহজনক যানবাহন’ হিসেবে চিহ্নিত করার পর গুলি চালিয়েছিল।
গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। হামাস এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) আরব নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, গুলি চালানোর বিষয়টি শনিবার স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত রবিবার মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তাল আল-সুলতান পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রায় দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর গাজায় সেনাবাহিনী আবার বিমান হামলা শুরু করার দুই দিন পর গত ২০ মার্চ ইসরাইলি সেনারা সেখানে আক্রমণ শুরু করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপি’কে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনারা হামাসের যানবাহনের দিকে গুলি করে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধা হত্যা করেছে।
সেনাবাহিনী আরো জানায়, কয়েক মিনিট পর অতিরিক্ত যানবাহন সন্দেহজনকভাবে সেনাদের দিকে এগিয়ে আসে। সেনারা সন্দেহজনক যানবাহনের দিকে গুলি চালিয়ে জবাব দেয়। ফলে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয় বলেও জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ।
এতে আরো বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে সন্দেহজনক যানবাহনগুলোর মধ্যে কিছু অ্যাম্বুলেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক ট্রাক ছিল।
হামাস জানিয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি অগ্নিনির্বাপক যানবাহন খুঁজে পাওয়ার খবর জানিয়েছে এবং বলেছে যে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি গাড়িও ধবংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম ইসরায়েলকে ‘রাফাহ শহরে সিভিল ডিফেন্স এবং ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট টিমের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত এবং নৃশংস গণহত্যা’ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত উদ্ধারকর্মীদের স্থাপনায় হত্যা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় অফিসের প্রধান টম ফ্লেচার বলেছেন, ১৮ মার্চ থেকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শত শত শিশু এবং অন্যান্য বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ