অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালুর নির্দেশ

ফাইল ছবি

 

দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর (ই-সিগনেচার) ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ  বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

 

মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলফনামা আকারে ১২ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। গত ১ এপ্রিল দেশের সব অফিস আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ আটজনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

রিটে ও আইনি নোটিশে বলা হয়, অনেক সময় অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা তা কোর্টে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেওয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।

 

ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর হলো একটি আইনি ধারণা যা ডিজিটাল স্বাক্ষর থেকে আলাদা, একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রক্রিয়া যা প্রায়ই ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি ইলেকট্রনিক নথিতে প্রবেশ করানো নামের মতোই সহজ হতে পারে, ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো ই-কমার্সে এবং নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি লেনদেনের সময় স্বাক্ষরকারীর জন্য একটি নিরাপদ এবং সঠিক সনাক্তকরণে পদ্ধতি প্রদান করার উদ্দেশ্যে।

 

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, অফিস-আদালেতর অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিষয়ে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই- সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন শিক্ষা দিয়েছে রাজনীতিতে দম্ভের পতন অনিবার্য: রুহুল আমিন হাওলাদার

» জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

» ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রাকসু ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি ছাত্রদলসহ ২ প্যানেলের

» জাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের ফল প্রকাশ, ভিপি জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম

» দেশে গণতন্ত্র না থাকায় অনেকের মধ্যে অসহিষ্ণুতা জন্ম নিয়েছে : তারেক রহমান

» জনগণ রায় দিলে দেশকে ৫ বছরেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব: জামায়াত আমির

» পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়: চরমোনাই পীর

» ‘সরকার-উপদেষ্টারা মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’: নাহিদ ইসলাম

» ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ

» আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালুর নির্দেশ

ফাইল ছবি

 

দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর (ই-সিগনেচার) ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ  বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

 

মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলফনামা আকারে ১২ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। গত ১ এপ্রিল দেশের সব অফিস আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ আটজনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

রিটে ও আইনি নোটিশে বলা হয়, অনেক সময় অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা তা কোর্টে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেওয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।

 

ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর হলো একটি আইনি ধারণা যা ডিজিটাল স্বাক্ষর থেকে আলাদা, একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রক্রিয়া যা প্রায়ই ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি ইলেকট্রনিক নথিতে প্রবেশ করানো নামের মতোই সহজ হতে পারে, ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো ই-কমার্সে এবং নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর বাস্তবায়নের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর একটি লেনদেনের সময় স্বাক্ষরকারীর জন্য একটি নিরাপদ এবং সঠিক সনাক্তকরণে পদ্ধতি প্রদান করার উদ্দেশ্যে।

 

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, অফিস-আদালেতর অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিষয়ে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই- সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com