শিরিন শিলা
পাগল-পারা চলার বেগে বাহির হলে পথে পথে,
বহুদূর পেরিয়ে শরীরে ক্লান্তি ভর করে
এসে থেমে যাও,
জীবনের এক অন্য দরজায়।
আমার মাটিতে তখন ভীষণ খরা
ভরা বর্ষাতেও,
আমার উনুন জলের ভেতর
হৃদয় পোড়ে রোজকার নিয়মে,
তোমার নিয়ন বাতিতে
আমার জোছনার আলো চুষে নেই—
স্তব্ধ আমি গোপন রাখি গভীরে চলা,
নিশিযাপন করতে গন্ধ মেখে কিছুটা তন্দ্রাহারা।
যে পথ গেছে সুদূরে হারিয়ে তোমার,
আমার রূপের সৌন্দর্যে ছন্দ তুলতে—
আমার রূপে শিহরিত হয়ে
তোমার বিষণ্নতা ছড়াও,
যা শরীরে বৃষ্টি ঝরিয়ে সবুজ করে তোমায়।
জীবন বৃন্তের থেকে ঝরে,
আপন নীড়ে এসেছো ফিরে—যেথায় পথেই থাকি চেয়ে।
সময়ের ছলে ছলে কতদিন গেছে চলে,
—তাই তো প্রশ্ন রেখেছিলাম (এতদিন কোথায় ছিলেন?)
বুঝি সময় এবার হলো!
জানো কি হে আনন্দ,
আঁখি ভিজিয়ে জলে
যৌবন রেখেছি ডুবিয়ে,
ক্ষণিকের উপলব্ধিতেই তোমার সহচরী।
জানো কি হে আনন্দ,
আমার উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে
তোমার বুকের লোম আন্দোলিত,
জমাটবদ্ধ সাগরের ঢেউয়ের আঘাত।
জানো কি হে আনন্দ,
যুগল মায়াবী দৃষ্টিতে
যে সুখ নাও তুমি
ব্যাকুল হয়ে আমার দৃষ্টির নেশায় জড়িয়ে
দু’দণ্ড শান্তি পেতে—
মাতোয়ারা আমার কামিনী চোখের দৃষ্টিলোপ
নেশার সুযোগটা বাড়িয়ে তুলেছে—
জানো কি হে আনন্দ,
আকাশে যখন মেঘ জমেছে,
গোপন স্বপ্নগুলো অনুরাগে হিয়ায় জাগলো
এ মনে লুকানো লাজ
মেঘেদের উড়োচিঠি হয়ে ঝড় উঠলো আকাশে—
জানো কি হে আনন্দ,
আমি মুগ্ধ হয়ে রই
কেন এত সুন্দরও হে,
এত প্রেম কেন সখা
আশ্চর্য শব্দগুলো এত মধুর,
তুমি এতো বড় প্রেমিক—
মেঘ ভেঙে এনেছো থোকা থোকা প্রেম।
জানো কি হে আনন্দ,
ফুলে ফুলে ওলি কথা বলে,
ওগো মনোমিত্র কিছু বল আজ,
বেলা যায় বয়ে সময়ের স্রোতে,
অভিমানী এত কেন
মন বুঝিনি আগে!
তুমি শুধু বলো আজ!
জানো কি হে আনন্দ,
মুখোমুখি বসে
এ লগনে মন রঙিন সাজে,
রিনঝিন মনোবীণা বাজিয়ে
অন্ধকারে অভিসারের শুভক্ষণে
আড়ালটুকু যাক সরে—
ওগো আনন্দ—
আমি অনেকের মাঝে এক
একের মাঝে অনন্য
যা আমাকে রূপান্তরিত করেছে বনলতা শিল।
(জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত বনলতা সেন কবিতার অনুভূতি প্রকাশ)
কবি: অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার, প্রাথমিক এডুকেশন প্রোগ্রাম, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। সূূএ:জাগো নিউজ