অনলাইনে জমেছে ঈদের কেনাকাটা

মহামারী করোনাভাইরাসে দুই বছরের ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিকতায় ফিরেছে দেশ। এরইমধ্যে এসেছে মুসলিমদের বড় উৎসব ঈদ। এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন পোশাক। আগেকার মতো মার্কেটে সশরীরে কেনাকাটার পাশাপাশি আজকাল অনলাইনেও পণ্য কিনছেন অনেকে। অনলাইন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।

 

অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তারা বলছেন, অনলাইনে খুচরার পাশাপাশি এখন পাইকারি বিক্রিতেও ঝুঁকেছেন অনেক ব্যবসায়ী। বিশেষ করে মেয়েদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

 

অনলাইনে পোশাক বিক্রেতা মালিহা তাবাসসুম জানান, সারা বছরই তার পেইজ থেকে অল্প বিস্তর পোশাক বিক্রি হয়। তবে মৌসুম ঘিরে পণ্যের অর্ডার বেশি আসে।

 

রাজধানীর একটি কলেজে অধ্যয়নরত এই তরুণী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিভিন্ন নারীরাই অনলাইনে বেশি কেনাকাটা করেন। তাদের কেনার চাহিদায় রয়েছে পোশাক আর নানা ধরনের প্রসাধন সামগ্রী। ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় দিনে দিনে অনলাইন কেনাকাটা বাড়ছে।

 

অনলাইনে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করেন এমন কয়েকজন বলছেন, দেখা গেল একটা পণ্য কিনতে মার্কেটে যেতে খরচা পড়ে যায় অনেক। তার ওপর যানজট আসা যাওয়ায় সময় ব্যয় তো আছেই। তাই এসব ঝামেলা এড়িয়ে অনলাইনে স্বাচ্ছন্দে পণ্য কেনা যায়।

 

মারজানা আক্তার নামে এক ক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইনে মেয়েদের সবকিছুই পাওয়া যায়। এছাড়া গুণগত মান ও উন্নত গ্রাহকসেবাও পাচ্ছি। তাই কেনাকাটার আধুনিকতম এই মাধ্যম ব্যবহার করছি।

 

অনলাইন ক্রেতা কাকলি বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইন কেনাকাটায় অনেক বিক্রেতাই মূল্যছাড় এবং মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ক্যাশব্যাকের অফার দিচ্ছে। ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি এই অফারগুলো উপভোগ করছি।

 

সুবাস্তু এ্যারোমা সেন্টার শপিং মলের পালকি শাড়িজ এন্ড থ্রী-পিস দোকানের কর্মী রবিন ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ইদুল ফিতরে অন্য বছরের তুলনায় শপিং মলগুলোতে বেচাকেনা কমেছে। কারণ ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এবার কমবেশি দোকানই অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছে।

 

তবে দোকানের ব্যবসা কমানোর জন্য অনলাইনকে দুষছেন সুবাস্তু এ্যারোমার ফরহাদ কালেকশনের কর্মীরা। মুন্না আহমেদ নামে এক কর্মী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইন আমাদের ব্যবসা খেয়ে দিয়েছে। অফলাইনের কাস্টমার অন্যবারের তুলনায় এবার বেশ কম। ক্রেতা কমায় বেশিরভাগ দোকানই কর্মী কমিয়েছে।’

 

গ্রীণ সরনিকা শপিং মল বিসমিল্লাহ্ ফ্যাশন হাউজের মালিক কাজী মো. তানভীর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশিরভাগই মেয়েদের কাপড়। তবে বিক্রি কম। কারণ ক্রেতারা নতুন মডেলের কি পোশাক এসেছে যাচাই করে চলে যায়। পরে দেখা যায় পছন্দের পণ্যটি অনলাইন থেকে কিনছে তারা।

সূএ: ঢাকাটাইমস ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» দেশের অর্থনীতি ‘ফোকলা’ করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: মঈন খান

» ব্যবসায়ী শাহ আলম হত্যা মামলায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার

» পাউরুটি কীভাবে খেলে ওজন কমবে?

» সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা

» প্রকাশ্যে ক্যাটরিনার বেবিবাম্প!

» সহোদর দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

» অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল

» পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চলবে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

» কিমা পুরি তৈরির রেসিপি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অনলাইনে জমেছে ঈদের কেনাকাটা

মহামারী করোনাভাইরাসে দুই বছরের ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিকতায় ফিরেছে দেশ। এরইমধ্যে এসেছে মুসলিমদের বড় উৎসব ঈদ। এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন পোশাক। আগেকার মতো মার্কেটে সশরীরে কেনাকাটার পাশাপাশি আজকাল অনলাইনেও পণ্য কিনছেন অনেকে। অনলাইন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।

 

অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তারা বলছেন, অনলাইনে খুচরার পাশাপাশি এখন পাইকারি বিক্রিতেও ঝুঁকেছেন অনেক ব্যবসায়ী। বিশেষ করে মেয়েদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

 

অনলাইনে পোশাক বিক্রেতা মালিহা তাবাসসুম জানান, সারা বছরই তার পেইজ থেকে অল্প বিস্তর পোশাক বিক্রি হয়। তবে মৌসুম ঘিরে পণ্যের অর্ডার বেশি আসে।

 

রাজধানীর একটি কলেজে অধ্যয়নরত এই তরুণী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিভিন্ন নারীরাই অনলাইনে বেশি কেনাকাটা করেন। তাদের কেনার চাহিদায় রয়েছে পোশাক আর নানা ধরনের প্রসাধন সামগ্রী। ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় দিনে দিনে অনলাইন কেনাকাটা বাড়ছে।

 

অনলাইনে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করেন এমন কয়েকজন বলছেন, দেখা গেল একটা পণ্য কিনতে মার্কেটে যেতে খরচা পড়ে যায় অনেক। তার ওপর যানজট আসা যাওয়ায় সময় ব্যয় তো আছেই। তাই এসব ঝামেলা এড়িয়ে অনলাইনে স্বাচ্ছন্দে পণ্য কেনা যায়।

 

মারজানা আক্তার নামে এক ক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইনে মেয়েদের সবকিছুই পাওয়া যায়। এছাড়া গুণগত মান ও উন্নত গ্রাহকসেবাও পাচ্ছি। তাই কেনাকাটার আধুনিকতম এই মাধ্যম ব্যবহার করছি।

 

অনলাইন ক্রেতা কাকলি বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইন কেনাকাটায় অনেক বিক্রেতাই মূল্যছাড় এবং মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ক্যাশব্যাকের অফার দিচ্ছে। ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি এই অফারগুলো উপভোগ করছি।

 

সুবাস্তু এ্যারোমা সেন্টার শপিং মলের পালকি শাড়িজ এন্ড থ্রী-পিস দোকানের কর্মী রবিন ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ইদুল ফিতরে অন্য বছরের তুলনায় শপিং মলগুলোতে বেচাকেনা কমেছে। কারণ ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এবার কমবেশি দোকানই অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছে।

 

তবে দোকানের ব্যবসা কমানোর জন্য অনলাইনকে দুষছেন সুবাস্তু এ্যারোমার ফরহাদ কালেকশনের কর্মীরা। মুন্না আহমেদ নামে এক কর্মী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অনলাইন আমাদের ব্যবসা খেয়ে দিয়েছে। অফলাইনের কাস্টমার অন্যবারের তুলনায় এবার বেশ কম। ক্রেতা কমায় বেশিরভাগ দোকানই কর্মী কমিয়েছে।’

 

গ্রীণ সরনিকা শপিং মল বিসমিল্লাহ্ ফ্যাশন হাউজের মালিক কাজী মো. তানভীর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশিরভাগই মেয়েদের কাপড়। তবে বিক্রি কম। কারণ ক্রেতারা নতুন মডেলের কি পোশাক এসেছে যাচাই করে চলে যায়। পরে দেখা যায় পছন্দের পণ্যটি অনলাইন থেকে কিনছে তারা।

সূএ: ঢাকাটাইমস ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com