ছবি সংগৃহীত
সারাক্ষণ সোশ্যল মিডিয়ায় সময় কাটছে। অনেকের কাছে এটি শুধু বিনোদন বা সময় কাটানোর জায়গা নয়। শপিংয়ের জন্য এখন অনলাইনই ভরসা। তবে অনলাইনে কেনাকাটায় আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তা না হলে ঠকে যেতে পারেন, যে কোনো মুহূর্তে পড়তে পারেন প্রতারকের খপ্পরে।
দেখে নিন অনলাইনে কেনাকাটার সময় কোন বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে-
অনলাইনে কেনাকাটার সময়ে ভালো করে দেখে নিন, সাইটটা অরিজিনাল কি না। যখন মানুষ বেশি কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে, তখন সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রতারকরা, ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে বসে।
অধিকাংশ সময় আসল ওয়েবসাইটের একটি বা দু’টি লেটার বদল করে প্রতারকরা, যা খুঁটিয়ে দেখলেই ধরা যায়। কিছু ক্ষেত্রে ডোমেন পাল্টে দেওয়া হয়। যেমন, .gov বদলে .com বা .co.in। এ সব ক্ষেত্রে আসল সাইটটা দেখুন।
ডিস্কাউন্ট বা অফার যদি অস্বাভাবিক হয়, তাহলে সতর্ক হতেই হবে। কেউ নিজের ক্ষতি করে ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেয় না
যদি সাইটটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কেনাকাটা করেনও, তা হলেও পেমেন্ট গেটওয়ে নিরাপদ কি না দেখুন। অনেক সময়ে এটিএম কার্ড বা ইউপিআই নম্বর ও পাসওয়ার্ড অটো সেভ অপশন থাকে। এটা করবেন না। তাহলে পরে সেই নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার সুযোগ থাকে।
অনলাইনে কেনাকাটা ও পেমেন্টে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই ভালো। ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হ্যাক করে গ্রাহককে পথে বসাতে পারে প্রতারকরা।
যে ওয়েবসাইট বা পেজ থেকে কিনছেন, তার রিভিউ পড়ুন। দেখুন, তাতে অন্যদের অভিজ্ঞতা কেমন। কেউ আগে প্রতারিত বা জিনিসের কোয়ালিটি নিয়ে অভিযোগ করেছে কি না। পেজে লাইক, কমেন্ট পেইড নাকি অরিজিনাল খেয়াল করুন।
যে গ্যাজেট থেকে কিনছেন, সেটিতে যেন লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার থাকে।
কেনাকাটার বিভিন্ন স্তরে আর্থিক লেনদেনের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন, যাতে অঘটন ঘটলেও অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ থাকে।
অনেক কেনাকাটায় আপনার জন্য ফ্রি গিফ্ট আছে, বলা হয়। সে জন্য নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, আধার, ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলে প্রতারকরা। ফাঁদে পা দেবেন না। সব তথ্য জেনে পথে বসাতে পারে প্রতারকরা। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন