সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্য যখন পাকিস্তানের জেলে কবর খোঁড়া হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘আমাকে ফাঁসি দাও। কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও।’ এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম। অতিরিক্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আজকে সত্যি হয়েছে। আজকে পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। পাকিস্তানিরা বলেন, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু কবিরাজ আছে। তাদের কিছু বিদেশি ডিগ্রি আছে, যার জোরে তারা নিদান হাঁকেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি।
আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে সব মিথ্যাচারকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি দেশকে অনেক আগেই উন্নত করে ফেলতেন। তার অসমাপ্ত কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি পরিকল্পনা করেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করি। কেউ কি ভেবেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ রকমের ওষুধ পাওয়া যাবে? এসব পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।
সংসদ উপনেতা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি কবিগুরুর বাঙালিকে নিয়ে বলা ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি’ কথার উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কবিগুরু, তোমার কথা মিথ্যে হয়েছে, আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ মুক্তিযুদ্ধের পর ঢাকায় কোনো রাস্তাঘাট, ব্রিজ ছিল না। তবু ১০ জানুয়ারি ঢাকার বিমানবন্দর বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসা জনতায় পূর্ণ হয়ে যায়। আমরাও হেঁটে হেঁটে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে এসেছিলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।