নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশে চাঞ্চল্যকর দেলোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক অটো চালককে গলা কেটে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অটোরিকশা, মোবাইল, নগদ টাকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাকিবা (২৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় (১৬ জুন) একটি এজাহার দায়ের করার পর দিবাগত রাতেই নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পলাশ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি অটোরিকশা, ৫৮০ টাকা, দুটি মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাকু, দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো, পলাশ উপজেলার জয়পুরা গ্রামের আব্দুল বাতেন মৃধার ছেলে ইসমাইল মৃধা ওরফে (কসাই ইসমাইল ২৫), খানেপুর গ্রামের সাদেকের ছেলে শাকিল (২৯) ও নরসিংদী সদরের শ্রীনগর দড়িপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (৫৪)।
পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী রাকিবা জানান, শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে দেলোয়ার হোসেন নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। পরে সেদিন তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরের দিন (১৫ জুন) সকালে পলাশ উপজেলার পাঁচদোনা চরসিন্দুর আঞ্চলিক সড়কের জিনারদী ইউনিয়নের নরসিংহারচর এলাকার সড়কের পাশের একটি কলাবাগানে দেলোয়ার হোসেনের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। দুষ্কৃতকারীরা তার গলাকেটে ভুড়ি বের করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে উলঙ্গ অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে এবং তার অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে তার মরদেহ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী রাকিবা ওই হাসপাতালে গিয়ে তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান স্যারের দিকনির্দেশনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ঘটনার মূল্য রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল, কবির ও শাকিল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও গত বছরের নভেম্বরে ইউনুস নামে এক অটোচালককেও হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছে বলে তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।