১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো?

সবসময় আমরা জেনে এসেছি শিশুকে কি খাবার দেওয়া যেতে পারে বা কোন খাবার তার জন্য ভালো। কিন্তু আজকে জানবো ১ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কোন কোন খাবারগুলো না দেওয়াই ভালো। এরকম অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না, কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারণে সে খাবারগুলোই আমরা খাওয়াতে পছন্দ করি। তাহলে, ১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো? জেনে নেই এখনই  ১ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কোন কোন খাবারগুলো না দেওয়া ভালো।

১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো?

১. মধু

বাচ্চার ১ বছর হওয়ার আগে দেয়া উচিত না। অনেক মা-দাদীরা বাচ্চার জন্মের পরই মুখে মধু দিয়ে দেন। ৬ মাস পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা মায়ের দুধ ছাড়া কোন খাবার শিশুর মুখে দেওয়া যাবে না। উপরন্তু মধু ১ বছর পর্যন্ত দেওয়া যাবে না। কারণ ১ বছর পর্যন্ত শিশুর বটুলিজম হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। মধু এই ব্যাক্টেরিয়া বহন করে।  ১ বছর পর হজম শক্তি বাড়ে এবং সে অনেক খাবার সহন করতে পারে।

২. লবন

ছোট বাচ্চাদের কিডনী লবন ও সোডিয়াম সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুর খাবারে বাইরের লবন না মেশানোই ভালো। লক্ষ্য রাখতে হবে, এমন অনেক খাবার আছে যাতে প্রচুর পরিমান সোডিয়াম থাকে। সেই খাবারগুলো বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। ১ বছর পরে তার খাবারে অল্প অল্প লবন মেশাতে পারেন।

৩. চিনি

শিশুর খাদ্যে চিনি মেশানোর দরকার নেই। শিশুকে মিষ্টি স্বাদ অনুভবের জন্য মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে দিন। কারণ অতিরিক্ত চিনি দাঁতে ক্ষয়ের পরিমান বাড়াতে থাকে।

৪. টক ফল

১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে টক ফল দেওয়া উচিত না। কারণ টক জাতীয় ফল এ বিভিন্ন রকম এসিড থাকে যা বাচ্চারা হজম করতে পারে না। তাই বাচ্চাদেরকে মিঠা ফল দেয়া উচিত। যেমন কলা, মিষ্টি আম, আলুবোখারা ইত্যাদি। টক ফল যেমন- কমলা, আঙ্গুর ১ বছরের মধ্যে দেয়া উচিত হবে না।

৫. গরুর দুধ

১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার জন্য গরুর দুধ দেয়া যাবে না। কারণ গরুর দুধে যে আমিষ এর অনুপাত রয়েছে তা মায়ের দুধ থেকে ভিন্ন এবং তা বাচ্চার হজম হয় না। শুধু তাই না, গরুর দুধে যে মিনারেলস আছে তা থেকে বাচ্চার কিডনীতে সমস্যা হতে পারে। পেট খারাপ হতে পারে।

৬. পিনাট বাটার

পিনাট বাটার যে বাদাম থেকে বানানো হয় তা থেকে অনেক বাচ্চার মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বিভিন্ন রকম বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারগুলোও এ সময় না খাওয়ানো উচিত।

৭. চকোলেটস

বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করলেও এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে। সাথে এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আর সাথে দাঁতের অনেক সমস্যার জন্য এই চকলেট দায়ী।

৮. গম

যদি বাচ্চার পরিবারে কারো গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই শিশুকে গমের তৈরি কোন খাবার দেয়া যাবে না। কারণ এই গমের গ্লুটেন থেকে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই বাচ্চাকে খাবার দেবার সময় একটু লক্ষ্য করে খাবার দেয়া উচিত। কারণ একটি ভুল আপনার শিশুর মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শিশুদের নাজুক পাকস্থলির উপর যাতে প্রেশার না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। বাসায় বানানো নরম খিচুড়ি, ফলের পিউরি, মাছ দিয়ে সবজি, মুরগীর ঝোল, সুজি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। আস্তে আস্তে সলিডের পরিমাণ বাড়াবেন। তাহলে আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

সূএ:সাজগোজ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

» অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

» দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু

» বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার

» বিএনপি নেতার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

» হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

» এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

» ফোন করে মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ট্রাম্প

» নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো?

সবসময় আমরা জেনে এসেছি শিশুকে কি খাবার দেওয়া যেতে পারে বা কোন খাবার তার জন্য ভালো। কিন্তু আজকে জানবো ১ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কোন কোন খাবারগুলো না দেওয়াই ভালো। এরকম অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না, কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারণে সে খাবারগুলোই আমরা খাওয়াতে পছন্দ করি। তাহলে, ১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো? জেনে নেই এখনই  ১ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কোন কোন খাবারগুলো না দেওয়া ভালো।

১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো?

১. মধু

বাচ্চার ১ বছর হওয়ার আগে দেয়া উচিত না। অনেক মা-দাদীরা বাচ্চার জন্মের পরই মুখে মধু দিয়ে দেন। ৬ মাস পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা মায়ের দুধ ছাড়া কোন খাবার শিশুর মুখে দেওয়া যাবে না। উপরন্তু মধু ১ বছর পর্যন্ত দেওয়া যাবে না। কারণ ১ বছর পর্যন্ত শিশুর বটুলিজম হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। মধু এই ব্যাক্টেরিয়া বহন করে।  ১ বছর পর হজম শক্তি বাড়ে এবং সে অনেক খাবার সহন করতে পারে।

২. লবন

ছোট বাচ্চাদের কিডনী লবন ও সোডিয়াম সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুর খাবারে বাইরের লবন না মেশানোই ভালো। লক্ষ্য রাখতে হবে, এমন অনেক খাবার আছে যাতে প্রচুর পরিমান সোডিয়াম থাকে। সেই খাবারগুলো বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। ১ বছর পরে তার খাবারে অল্প অল্প লবন মেশাতে পারেন।

৩. চিনি

শিশুর খাদ্যে চিনি মেশানোর দরকার নেই। শিশুকে মিষ্টি স্বাদ অনুভবের জন্য মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে দিন। কারণ অতিরিক্ত চিনি দাঁতে ক্ষয়ের পরিমান বাড়াতে থাকে।

৪. টক ফল

১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে টক ফল দেওয়া উচিত না। কারণ টক জাতীয় ফল এ বিভিন্ন রকম এসিড থাকে যা বাচ্চারা হজম করতে পারে না। তাই বাচ্চাদেরকে মিঠা ফল দেয়া উচিত। যেমন কলা, মিষ্টি আম, আলুবোখারা ইত্যাদি। টক ফল যেমন- কমলা, আঙ্গুর ১ বছরের মধ্যে দেয়া উচিত হবে না।

৫. গরুর দুধ

১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার জন্য গরুর দুধ দেয়া যাবে না। কারণ গরুর দুধে যে আমিষ এর অনুপাত রয়েছে তা মায়ের দুধ থেকে ভিন্ন এবং তা বাচ্চার হজম হয় না। শুধু তাই না, গরুর দুধে যে মিনারেলস আছে তা থেকে বাচ্চার কিডনীতে সমস্যা হতে পারে। পেট খারাপ হতে পারে।

৬. পিনাট বাটার

পিনাট বাটার যে বাদাম থেকে বানানো হয় তা থেকে অনেক বাচ্চার মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বিভিন্ন রকম বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারগুলোও এ সময় না খাওয়ানো উচিত।

৭. চকোলেটস

বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করলেও এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে। সাথে এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আর সাথে দাঁতের অনেক সমস্যার জন্য এই চকলেট দায়ী।

৮. গম

যদি বাচ্চার পরিবারে কারো গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই শিশুকে গমের তৈরি কোন খাবার দেয়া যাবে না। কারণ এই গমের গ্লুটেন থেকে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই বাচ্চাকে খাবার দেবার সময় একটু লক্ষ্য করে খাবার দেয়া উচিত। কারণ একটি ভুল আপনার শিশুর মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শিশুদের নাজুক পাকস্থলির উপর যাতে প্রেশার না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। বাসায় বানানো নরম খিচুড়ি, ফলের পিউরি, মাছ দিয়ে সবজি, মুরগীর ঝোল, সুজি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। আস্তে আস্তে সলিডের পরিমাণ বাড়াবেন। তাহলে আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

সূএ:সাজগোজ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com