১১৪ টাকায় স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে শেভ করা যায় যে সেলুনে!

ব্যবসা চালাতে নানা ধরনের কৌশল করেন দোকানিরা। ক্রেতা বা গ্রাহক টানতে দিয়ে থাকেন বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট। তবে এবার সেলুন ব্যবসায় অভিনব কৌশল বেছে নিলেন এক নরসুন্দর। গ্রাহক টানতে তিনি সেলুনে এনেছেন স্বর্ণের ক্ষুর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুনেতে। 

পুনে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক গ্রাহকই ‘স্পেশাল’! অন্তত ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার তেমনই দাবি।

 

ব্যবসা বাড়াতে প্রচার যে অন্যতম হাতিয়ার, তা ফের বোঝাচ্ছেন পুনের ওই নরসুন্দর। গ্রাহকের গোঁফদাড়ি ছাঁটা বা কামানোর কাজে আট তোলা ওজনের স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করছেন তিনি।

অবিনাশের এই অভিনব ভাবনা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। আচমকাই প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। ভারতের নানা সংবাদমাধ্যমে এখন শিরোনাম অবিনাশ!

 

প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের ওই স্বর্ণের ক্ষুরটি কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে? অবিনাশ জানিয়েছেন, চার লাখ টাকা দিয়ে ওই ক্ষুর কিনেছেন তিনি।

 

হঠাৎ করে স্বর্ণের ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন? অবিনাশের দাবি, তার সেলুনে আসা প্রতিটি গ্রাহকই ‘স্পেশাল’। গ্রাহকদের স্পেশাল মনে করেন বলেই স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন তিনি।

 

তার সেলুনে যে স্বর্ণের ক্ষুরে গোঁফদা-দাড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।

 

তবে করোনাকালে পসার বাড়ানো তো দূরের কথা, ব্যবসা লোপাট হওয়ার দায় হয়েছিল অবিনাশদের মতো ছোট দোকানিদের। করোনার সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে দফায় দফায় ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন দেশটির সরকার। বন্ধ রাখতে হয়েছে দোকানপাট-হাটবাজার, সেলুন-স্পা-জিম-রেস্তরাঁ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জেরে ভীষণ লোকসান হয়েছে অবিনাশ-সহ অগণিত ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের। কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক।

 

ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সব কিছুর মতোই ফের খুলেছে দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ-সেলুনও। তারপর থেকে গ্রাহক টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন অবিনাশের মতো ব্যবসায়ীরা।

 

অবিনাশের দাবি, স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় প্রত্যেক গ্রাহকই নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। তাই এমন উপায় বের করেছেন তিনি। এতে তার সেলুনে লোকজনও ভিড় করবেন বলে মনে করেন অবিনাশ।

 

সেলুনে লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, “সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তারাও স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদা-দাড়ি কামাতে পারবেন।”

 

তা অবিনাশের চার লাখ টাকার ক্ষুরে গোঁফ-দাড়ি কামাতে গ্রাহকদের কত টাকা লাগে? সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, “আমার সেলুনে স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটার খরচ মাত্র ১০০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করলো বাংলাদেশ

» ভারতের অপপ্রচারে ক্ষতি নেই, আমাদের চিকিৎসা ও বাজার সবই আছে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

» আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো আপস নেই : নুর

» দরিদ্র দেশগুলোকে ১০ হাজার কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

» নির্বাচন কমিশনে ৪টি নতুন কমিটি গঠন

» ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে প্রতিবেশীর মতো : সারজিস

» বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হোক না কেন আমরা জিতবেই.. মাওলানা মামুনুল হক

» ব্র্যাক ব্যাংক-কে ‘বেস্ট ব্যাংকিং পার্টনার অফ দ্যা ইয়ার ২০২৩’ স্বীকৃতি দিয়েছে জেডটিই বাংলাদেশ

» পলাশে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

» অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় বিদ্রোহ হবে: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১১৪ টাকায় স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে শেভ করা যায় যে সেলুনে!

ব্যবসা চালাতে নানা ধরনের কৌশল করেন দোকানিরা। ক্রেতা বা গ্রাহক টানতে দিয়ে থাকেন বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট। তবে এবার সেলুন ব্যবসায় অভিনব কৌশল বেছে নিলেন এক নরসুন্দর। গ্রাহক টানতে তিনি সেলুনে এনেছেন স্বর্ণের ক্ষুর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুনেতে। 

পুনে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক গ্রাহকই ‘স্পেশাল’! অন্তত ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার তেমনই দাবি।

 

ব্যবসা বাড়াতে প্রচার যে অন্যতম হাতিয়ার, তা ফের বোঝাচ্ছেন পুনের ওই নরসুন্দর। গ্রাহকের গোঁফদাড়ি ছাঁটা বা কামানোর কাজে আট তোলা ওজনের স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করছেন তিনি।

অবিনাশের এই অভিনব ভাবনা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। আচমকাই প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। ভারতের নানা সংবাদমাধ্যমে এখন শিরোনাম অবিনাশ!

 

প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের ওই স্বর্ণের ক্ষুরটি কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে? অবিনাশ জানিয়েছেন, চার লাখ টাকা দিয়ে ওই ক্ষুর কিনেছেন তিনি।

 

হঠাৎ করে স্বর্ণের ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন? অবিনাশের দাবি, তার সেলুনে আসা প্রতিটি গ্রাহকই ‘স্পেশাল’। গ্রাহকদের স্পেশাল মনে করেন বলেই স্বর্ণের ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন তিনি।

 

তার সেলুনে যে স্বর্ণের ক্ষুরে গোঁফদা-দাড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।

 

তবে করোনাকালে পসার বাড়ানো তো দূরের কথা, ব্যবসা লোপাট হওয়ার দায় হয়েছিল অবিনাশদের মতো ছোট দোকানিদের। করোনার সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে দফায় দফায় ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন দেশটির সরকার। বন্ধ রাখতে হয়েছে দোকানপাট-হাটবাজার, সেলুন-স্পা-জিম-রেস্তরাঁ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জেরে ভীষণ লোকসান হয়েছে অবিনাশ-সহ অগণিত ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের। কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক।

 

ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সব কিছুর মতোই ফের খুলেছে দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ-সেলুনও। তারপর থেকে গ্রাহক টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন অবিনাশের মতো ব্যবসায়ীরা।

 

অবিনাশের দাবি, স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় প্রত্যেক গ্রাহকই নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। তাই এমন উপায় বের করেছেন তিনি। এতে তার সেলুনে লোকজনও ভিড় করবেন বলে মনে করেন অবিনাশ।

 

সেলুনে লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, “সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তারাও স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে গোঁফদা-দাড়ি কামাতে পারবেন।”

 

তা অবিনাশের চার লাখ টাকার ক্ষুরে গোঁফ-দাড়ি কামাতে গ্রাহকদের কত টাকা লাগে? সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, “আমার সেলুনে স্বর্ণের ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটার খরচ মাত্র ১০০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com